৬১ বছরের বাম আধিপত্যের অবসান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে সমবায় নির্বাচনে জয় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের। উড়ল সবুজ আবির। ২৬-এর নির্বাচনের আগে এই জয় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সমবায় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ দুর্গাপুর দাসপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন ছিল শনিবার। সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে চলে ভোটগ্রহণ। উপস্থিত ছিল জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন দপ্তরের পর্যবেক্ষক দলও। দীর্ঘ ৬১ বছর ধরে এই সমবায়টি ছিল এসইউসিআই-এর নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ন’টি আসনের প্রতিটিতেই জয় পেল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই এলাকায় উদযাপন শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।

যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে সমবায় নির্বাচনে ‘ছাপ্পা ভোট’-এর অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ভোট প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। শাসক দলের পাল্টা দাবি, মানুষ বামেদের দখলদারি থেকে মুক্তি চেয়েছে বলেই এই রায় দিয়েছে। এই নির্বাচনে বিজেপি ও এসইউসিআই-এর মধ্যে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। দুই দলই কৌশলগতভাবে একে অপরকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। তবে শেষপর্যন্ত কোনও আসনেই সাফল্য আসেনি জোট সমর্থিত প্রার্থীদের।

তৃণমূলের তরফে নিখিল বৈদ্য জানান, সমবায় হবে থেকে শুরু হয়েছে, তবে থেকেই বামেদের সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন। এ বার আমরা জিতেছি। ৭৭৭টি ভোটার সংখ্যা ছিল। আমরা সব আসনেই জয়লাভ করেছি। বিজেপির তরফে উৎপল নস্কর জানান, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। ব্যাপকভাবে ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর প্রতিবাদ দেবে।