• ডাক্তারি পড়ুয়াদের শিক্ষায় নজর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ রাজ্যের ছয় হাসপাতালের...
    আজকাল | ২২ জুন ২০২৫
  • গোপাল সাহা

    কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি রাজ্যে চিকিৎসা বিভাগের শিক্ষায় নজরদারি শুরু। এই পরিকল্পনা চলছিল ২০১৫ থেকে। এই বছর জুন মাসে তারই প্রতিফলন। তিন দিন ধরে চলল কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি কর্মশালা। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মত পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চলল ১৯, ২০, ২১ জুন এই তিন দিন ধরে। শনিবার মেডিক্যাল কলেজে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ভারতের বিশাখাপত্তনাম থেকে আগত অন্ধ্র মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক শ্রীনিবাসন। এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রিন্সিপাল ডক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাস ও এমএসভিপি ডক্টর অঞ্জন অধিকারী উপস্থিতিতে ও শিক্ষক চিকিৎসকদের কমিটি গঠন করে একটি শিক্ষামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

    এই নিয়ে আজকাল ডট ইন-এর তরফ থেকে কথা বলা হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি জানান, এই কোর্সের উদ্দেশ্য যোগ্য ডাক্তার তৈরি করা। ডাক্তারদের যাঁর পড়ান সেই সকল শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ নিতে হয়। পশ্চিবঙ্গের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকাল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল (এনআরস), এসএসকেএম এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের মোট ছ'টি কলেজ মিলে অন্ধ্র মেডিক্যাল কলেজের তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিল। 'বেসিক কোর্স ইন মেডিক্যাল এডুকেশন' নামক এই কর্মশালার দায়িত্বে ছিলেন অন্ধ্র মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক শ্রীনিবাসন। তাঁর তত্ত্বাবধানে এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২৬ জন শিক্ষক। কোনও শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য এই কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এই কোর্সের উদ্দেশ্য শিক্ষকরা কীভাব ছাত্রদের পড়ানোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। 

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের জেলায় জেলায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নারী শিশু-সহ প্রতিটি মানুষ যেন স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক মতো পান। চিকিৎসার ব্যবস্থায় যেন কোনও রকম খামতি না থাকে। দেশের প্রতিটি রাজ্যের শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি হাসপাতালগুলির চিকিৎসকরা যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় আরও সচেতন হন এবং উন্নতি করতে পারেন, সেই কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
  • Link to this news (আজকাল)