কোটি টাকা মূল্যের আফ্রিকার চার সোনালি বাঁদর পাচার রুখল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৬ পাচারকারী
প্রতিদিন | ২১ জুন ২০২৫
কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে পাচার হচ্ছিল গোল্ডেন মাঙ্কি বা সোনালি বাঁদর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। আর তাতেই মিলল সাফল্য। উদ্ধার করা হল চারটি গোল্ডেন মাঙ্কি। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ পাচারকারীকে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। বেলডাঙা থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসার পরেই বিভিন্ন এলাকায় নাকাচেকিং শুরু হয়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরও নজরদারি চলছিল। গভীর রাতে দুটি চারচাকার গাড়িকে জাতীয় সড়কে দাঁড় করানো হয়। শুরু হয় জেরা করা। এরপরই পুলিশ গাড়িদু’টিতে তল্লাশি চালানো হয়। ভিতরে মুখবন্দি বস্তা দেখে সন্দেহ হয়। সেগুলি খুললেই চক্ষুচড়কগাছ হয় পুলিশ কর্মীদের। বস্তাগুলির মধ্যে বন্দি অবস্থায় ছিল চারটি বাঁদর। দ্রুত সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, সেগুলি গোল্ডেন মাঙ্কি বা সোনালি বাঁদর। আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলির দাম আনুমানিক কোটি টাকার উপর।
এরপরই গাড়িতে থাকা ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম মিঠু দাস, টিটু দাস, শামিল হোসেন, রফিকুল মণ্ডল, হাসিবুল মণ্ডল এবং বিশ্বজিৎ বাগ। বেলডাঙার এসডিপিও উত্তম গড়াই জানিয়েছেন, মিঠু দাস নদিয়ার বাসিন্দা। মিঠুই এই পাচারচক্রের পাণ্ডা। উল্লেখ্য, সোনালি বাঁদর নীল বানরের একটি উপ প্রজাতি। মূলত, মধ্য আফ্রিকায় এই সোনালি বাঁদর দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে এই চারটি বাঁদর বাংলায় এল? কোথা থেকে সেগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে? কোথায় পাচার করা হচ্ছিল? ওই প্রাণীগুলিকে কি সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশ পাচার করা উদ্দেশ্য ছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনালি বাঁদরগুলিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।