হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, লরির পিছনে ধাক্কা অ্যাম্বুল্যান্সের! বর্ধমানে মৃত ৩
প্রতিদিন | ২১ জুন ২০২৫
অর্ক দে, বর্ধমান: জাতীয় সড়কের উপর ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেল তিনজন। শনিবার সকালে বর্ধমানের জামালপুরের মুসন্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, কলকাতার হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে অ্যাম্বুল্যান্স করে দুর্গাপুরে ফিরছিলেন দু’জন। চালক-সহ তিনজনই মারা গিয়েছেন বলে খবর। জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে এক রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এরপর ওই গাড়ি করেই দুর্গাপুর ফেরা হচ্ছিল। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুর্গাপুর ফেরার সময় আজাপুরের মুসন্ডা এলাকায় সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার ধারে একটি লরি দাঁড়িয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সটি গিয়ে ওই লরিটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল। এদিকে বৃষ্টির কারণে রাস্তাও ভেজা ছিল। ফলে চালক আর গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। লরিটির পিছনে গিয়ে সেটি ধাক্কা মারে। গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, অ্যাম্বুল্যান্সটির সামনের দিক দুমড়েমুচড়ে যায়।
প্রচণ্ড আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর থেকে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে একজনকে দুর্গাপুর ও দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ডাক্তাররা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। অ্যাম্বুল্যান্সচালক বিধান রুইদাস (৩৫) বীরভূমের জয়দেব এলাকার বাসিন্দা। গৌতম দাসের (৫৫) বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৫২) দুর্গাপুরের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মৃত দু’জন রোগীর বাড়ির আত্মীয়। খবর পেয়ে জামালপুল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে দুর্ঘটনার পরেই লরির চালক লরি নিয়ে এলাকা ছাড়ে বলে খবর। সেই গাড়িটির খোঁজ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।