বাংলার আইনকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে তুলনা সুকান্তর, ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে ফুঁসছে তৃণমূল
প্রতিদিন | ২১ জুন ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধারে অধ্যাপক। দু’বারের জয়ী সাংসদ। সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। আবার বাংলার প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন তিনি। সেই সুকান্ত মজুমদারই রাজ্যের আইনকে ‘সোনাগাছির যৌনকর্মী’দের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। সুকান্তকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে শাসক শিবির।
তৃণমূলের অফিসিয়াল X হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। ৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি গাড়িতে বসে রয়েছেন সুকান্ত। পুলিশদের লক্ষ্য করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা আইনটাকে সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে (যৌনকর্মী) পরিণত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের আইনটা।” কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এমন মন্তব্য করেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুকান্তর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে সুকান্ত কুৎসিত কথা বলছেন। উনি চিৎকার করে অপমান করছেন সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কার বলে। তাঁদের নিম্নমানের দৃষ্টিতে দেখে তিনি রাজনৈতিক তুলনা করে বিকৃত বিবৃতি দিয়েছেন। এই মা-বোনেদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কার মানে বোঝেন? কতটা যন্ত্রণা, অশ্রু, কষ্ট, লড়াই থাকে বোঝেন? পাশাপাশি যদি ধরেন তাঁদের শ্রমের অধিকারের আওয়াজ উঠেছে সর্বত্র। সেখানে সোনাগাছি সেক্স ওয়ার্কারদের কথা বলছেন? আপনি কোন যুগে বাস করেন? মধ্যযুগে? এটা বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি। এরা মা-বোনেদের কুৎসিতভাবে দেখে। একজন বলেছিলেন বীরবাহা হাঁসদা জুতার তলায় থাকা উচিত। এখন সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারদের অপমান করেছেন। ওঁরা বাধ্য হয়ে একটা পেশায় আছেন। আপনার কোন অধিকার আছে সেই পেশায় থাকা মা-বোনেদের অপমান করার? তাঁদের জীবনযাপন, সংগ্রাম, বঞ্চনা, বৈষম্য থেকে শ্রমিক অধিকার নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। এটা একটা কী যন্ত্রণার জীবন। সুকান্ত মজুমদারকে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের উদ্দেশে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হবে।”
সোশাল মিডিয়ায় খোঁচা দিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। অনুব্রতর কুমন্তব্যর প্রসঙ্গ তুলে তাঁর খোঁচা, “হে বিজেপি, পোড়া মুখ কত হবে কালো? অনুব্রতে অপরাধ, সুকান্তে ভালো?”
এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুকান্তর বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবির কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।