দিল্লি এইমসে ভর্তি রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকমাস হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁকে। দীর্ঘ চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে সাংসদকে। বিজেপির তরফে সাংসদের শারীরিক অবস্থার তদারকির জন্য বিশেষে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। স্পিকার ওম বিড়লাও প্রতিদিন রিপোর্ট নেবেন।
লোকসভার সচিবালয়ের তরফেও এইমস হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে সহায়তার জন্য দিল্লিতে থাকতে বলা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে দিল্লিতে থেকে অভিজিতের চিকিৎসা বিষয়ে যাবতীয় সহযোগিতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিজিতের ভাইপো এবং আপ্তসহায়ক দিল্লিতে রয়েছেন। শনিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাই দিল্লিতে পৌঁছান।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, দীর্ঘ চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে সাংসদকে সুস্থ করে তোলা হবে। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে অভিজিৎবাবু স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারবেন। অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত অভিজিতের ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল সেপসিস’ও রয়েছে। প্রবীণ সাংসদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে। শুক্রবার বিকেল নাগাদ অভিজিৎবাবুর শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়েছে এইমসের তরফে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ৬৩ বছরের সাংসদ।
গত ১৪ জুন বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হঠাৎ ভীষণ পেটে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার প্রবীণ সাংসদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। আর সময় নষ্ট করেননি চিকিৎসকেরা। ওইদিন বিকেলে একটি বিমানে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় অভিজিৎকে। তারপর এইমসে ভর্তি করা হয় তাঁকে।