• উঁচু বাড়ি, জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে উদ্বেগ কলকাতা এয়ারপোর্টের, সতর্ক পুরসভাকে
    এই সময় | ২১ জুন ২০২৫
  • এই সময়, মধ্যমগ্রাম: আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরে অবশেষে হুঁশ ফিরল দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। দমদম এয়ারপোর্টের আশপাশে বহুতল বাড়ি, জলের ট্যাঙ্ক, উঁচু বাতিস্তম্ভ, বিদ্যুতের খুঁটি এবং হোর্ডিংয়ের কাঠামো নিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে সতর্ক করল দমদম বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

    বুধবার দমদম বিমানবন্দরের কয়েকজন আধিকারিক এই ধরনের বেশ কিছু ছবি নিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভায় হাজির হন। বিমানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই সব কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার জন্য মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষকে অনুরোধ করেন তাঁরা।

    দমদম বিমানবন্দরে যে রুট দিয়ে বিমান ওঠানামা করে তার বেশ কিছুটা অংশ মধ্যমগ্রাম পুরসভার অধীনে পড়ে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিমান ওঠানামার রুটে যতটা উচ্চতা পর্যন্ত নির্মাণ করা যায়, অনেক ক্ষেত্রে সেটা মানা হচ্ছে না।

    দমদম বিমানবন্দরের আশপাশে অনেক বাড়ির ছাদে উঁচু করে জলের ট্যাঙ্ক বসানো রয়েছে। কোথাও আবার লম্বা উঁচু লাইট পোস্ট বসানো হয়েছে। বাড়ির ছাদে হোর্ডিং লাগানোর জন্য যে লোহার কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, সেটাও অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত উচ্চতার থেকে বেশি হয়ে যাচ্ছে।

    তাতে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এই ধরনের বেআইনি নির্মাণের ছবি তুলে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দিয়েছেন দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পুরসভাকে আরও একবার সতর্ক করে দিয়েছেন তাঁরা।

    পুরসভা সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে যৌথ পরিদর্শনের পরামর্শ দিয়েছেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান।বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬, ২৭ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড দমদম বিমানবন্দরের ফ্লাইং জোনের মধ্যে পড়ে।

    এই এলাকায় একটা নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। হোর্ডিং, জলের ট্যাঙ্ক, লাইট পোস্ট বসানোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়।

    মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬, ২৭ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করার আগে দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ‘এনওসি’ আছে আছে কি না, দেখে নেওয়া হয়। অন্যথায় কোনও বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর করা হয় না।

    তিনি বলেন, ‘বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাকে কয়েকটি ছবি দেখিয়েছেন। ওগুলো ঠিক কোথায় রয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এলাকাগুলো মধ্যমগ্রাম পুরসভা, নাকি নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার মধ্যে, সেটা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

    তাই ওনাদের কোনও একটা দিন যৌথ পরিদর্শন বেরোনোর প্রস্তাব দিয়েছি। তা হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। যদি মধ্যমগ্রাম পুরসভার মধ্যে কোথাও উঁচু ইলেকট্রিক পোস্ট, বাতিস্তম্ভ, বিজ্ঞাপনের উঁচু কাঠামো কিংবা জলের ট্যাঙ্ক থাকে, তা হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)