• ২৪ ঘণ্টায় উঠল তুলসীর মালা নিয়ে ‘ফতোয়া’, কী বললেন সেই প্রধান শিক্ষিকা?
    এই সময় | ২১ জুন ২০২৫
  • তুলসীর মালা পরে স্কুলে যেতে নিষেধ করেছিলেন বারাসতের এক প্রধান শিক্ষিকা। বারাসতের নবপল্লি যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকার ফতোয়ায় তৈরি হয় বিতর্ক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে স্কুলের পরিচালন সমিতি। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই সেই নির্দেশ বাতিল করা হলো স্কুলের তরফে।

    তুলসীর মালা পরে কোনও ছাত্রী স্কুলে আসতে পারবে না, এমনটা নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী দত্ত চক্রবর্তী। ফতোয়া বাতিলের পর এ দিন তিনি বলেন, ‘যে কোনও ছাত্রী যে ভাবে ইচ্ছা বিদ্যালয়ের আসতে পারে। তবে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’

    তুলসীর মালা পরায নিষেধাজ্ঞা জারির পরে প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্কুলের অভিভাবকরা। তাঁদের মতে, যে কোনও পড়ুয়ার নিজেদের মতো ধর্মীয় বিশ্বাস থাকতেই পারে। স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই নির্দেশিকা দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন অভিভাবকরা।

    তবে শুক্রবার এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছিলেন স্কুলে এক পড়ুয়াকে তুলসীর মালা পরে আসতে দেখেছিলেন। সেটি কোনওভাবে খুলে পড়ে যায়। মালাটি কারও পায়ে লাগলে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে, সেই কারণেই তিনি নিষেধ করেছিলেন।

    শনিবার স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেস নেতা সজল দে বলেন, ‘আমরা ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি জানিয়েছেন ওঁর নির্দেশের অপব্যাখ্যা হয়েছে। উনি ক্ষমাও চেয়েছেন। এরকম যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সে ব্যাপারেও নিশ্চয়তা দিয়েছেন।’ বিষয়টি নিয়ে এ দিন স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক চম্পক দাস বলেন, ‘উনি (প্রধান শিক্ষিকা) তুলসীর মালা মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সেটি পরে আসতে মানা করেছিলেন। অন্য উদ্দেশে বলতে চাননি। এই রকম নির্দেশ তুলে নেওয়ার জন্য আমরা জানিয়েছিলাম। সেটা তুলে নেওয়া হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)