• পুলিশ কোয়ার্টার থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন নাকি আত্মহত্যা?
    এই সময় | ২১ জুন ২০২৫
  • ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে বারাসতের পুলিশ কোয়ার্টার থেকে দেবজ্যোতি ঘোষ (২৬) নামে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। কোয়ার্টারের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। মৃতের মায়ের অভিযোগ, ওষুধ খাইয়ে তাঁর ছেলের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তার জেরেই ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি মায়ের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দেবজ্যোতি নীলরতন সরকার মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল (NRS) থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। তারপর MD করতে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। মৃত যুবকের বাবা দিলীপ ঘোষ পুলিশবাহিনীর গাড়ি চালান, তিনি দোলতলা পুলিশ লাইনে কর্মরত। সম্প্রতি দমদমে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। ঘটনার সময়ে সেখানেই ছিলেন দিলীপ। মা গিয়েছিলেন নদিয়ায়, দেশের বাড়িতে। সেই সময়ই দেবজ্যোতি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে পুলিশ।

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক ১৮ জুন আত্মহত্যা করেছেন। এ দিন কোয়ার্টারের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় অন্যান্য বাসিন্দার। তাঁরা খবর দেন পুলিশে। বারাসত থানার পুলিশ এসে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।

    এই ঘটনায় দেবজ্যোতির জেঠু-জেঠিমার দিকে আঙুল তুলেছেন মৃত যুবকের মা রেবতী ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ওরা ছেলেকে উল্টোপাল্টা ওষুধ খাওয়াতো। অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল ছেলের, অভিযোগ মায়ের। ছেলেকে ডাক্তার দেখানো হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন মৃতের মা। এর মধ্যেই এমন ঘটনা। তাঁর ছেলেকে ‘তুকতাক’ করেছিল বলেও দাবি করেছেন দেবজ্যোতির মা।

    দেবজ্যোতি কোনও সুইসাইড লিখে গিয়েছিলেন কি না, তা খোঁজ করছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বারাসতের SDPO বিদ্যাগর অজিঙ্ক অনন্ত বলেন, ‘দেহ উদ্ধারের পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।’

  • Link to this news (এই সময়)