• দার্জিলিঙে জোড়া সাহিত্য অকাদেমির পুরস্কার
    আনন্দবাজার | ২১ জুন ২০২৫
  • সাহিত্য অকাদেমির তরফে এ বছর নেপালি সাহিত্যে বাল সাহিত্য পুরস্কার এবং যুব পুরস্কার পেল দাজিলিঙের দুই জন, সাংমু লেপচা এবং সুবাস ঠাকুরি। জাতীয় স্তরে পাহাড়ের এই দুই ব্যক্তির সম্মানপ্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া দার্জিলিঙে।

    শিশুদের জন্য উপন্যাস ‘শান্তিবন’ লিখে বাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন দার্জিলিঙের সাংমু লেপচা। দার্জিলিং ছাড়াও শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে দাগাপুরে তাঁর বাড়ি রয়েছে। ২০২১ সালে বাচ্চাদের জন্য তিনি ওই উপন্যাস লেখেন। অন্য দিকে, দার্জিলিঙের রিম্বিকের বাসিন্দা সুবাসের কবিতার বই 'জুনকো আঁসু' -র জন্য তাঁকে যুব পুরস্কার দেওয়া হল। ওই সম্মান পেয়ে খুবই খুশি দুই জনেই।

    সুবাসের একক ভাবে এটি তাঁর প্রথম কবিতার বই। সুবাসের কথায়, ‘‘মানুষের জীবনে সুখ, দুঃখের আবহ রয়েছে। তার মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা জরুরি।’’ তিনি জানান, সম্পর্ক নষ্ট হতেই পারে, কিন্তু তাঁর জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া অর্থহীন। হার না মানা মানসিকতা-ই দরকার। কবিতাগুলিতে মূলত সেই ভাবনাই তুলে ধরতে চেয়েছি।

    তাঁর সংযোজন, মানুষ মারা যায়। লোক কথায় সেই আবার পাখি হয়ে ফিরে আসে। এই বই লিখতে লোককথার এমন বিষয়গুলি জানতে হয়েছে। সাংমু লেপচা একজন শিক্ষাবিদ। স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। এক ছেলে ও এক মেয়ে, বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে লেখাতেই আরও মনোনিবেশ করতে চান।

    ৬২ বছরের সাংমু লেপচা লিখেছেন পূর্ব হিমালয়ের প্রেক্ষাপটে পাখি নিয়ে এই লেখা। আদিবাসী লোক কাহিনী রয়েছে তার সাহিত্যে। তিনি জানান, পাহাড়ের কোলে কত পাখি রয়েছে। অথচ মানুষ গাছ কেটে জঙ্গল সাফ করে শান্তি বন তৈরি করছে। পাখিরা এলাকা ছাড়া। সেখানে তাদের ফেরাতে পারলেই শান্তি বন সার্থ্যক। বাচ্চাদের কথা ভেবে উপন্যাস লেখা কয়েক বছর আগে।

    তাঁর সংযোজন, মানুষ মারা যায়। লোক কথায় সেই আবার পাখি হয়ে ফিরে আসে। এই বই লিখতে লোককথার এমন বিষয়গুলি জানতে হয়েছে। সাংমু লেপচা একজন শিক্ষাবিদ। স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। এক ছেলে ও এক মেয়ে, বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে লেখাতেই আরও মনোনিবেশ করতে চান।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)