এই সময়,আলিপুরদুয়ার: দালালের খপ্পরে পড়ে কাশ্মীরে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার বন্ধ চা বাগান লঙ্কাপাড়ার তিন বাসিন্দা। অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ দেওয়ার নামে তাঁদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীরে।

শেষ পর্যন্ত এফআইআর দায়েরের তিন দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার তিনজনকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ। দু’মাস আগে মোটা টাকা আয়ের টোপ দিয়ে দু’জন মহিলা এবং একজন পুরুষকে কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েছিলেন এক দালাল।

অভিযোগ, তাঁদের বন্দি করে একটি বাড়ির সাফাই কর্মীর কাজে লাগানো হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সকলের মোবাইল। এমনকী, বাসি ও আধপেটা খাইয়ে দিনভর কাজ করানো হতো তাঁদের। বাধ্য করা হতো টয়লেট সাফাই করতেও।

প্রতিবাদ করলেই জুটতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এ ভাবে মাস দুই কাটার পরে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে তাঁরা মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন বীরপাড়ার যুব তৃণমূল নেতা বিশাল গুরুং-এর সঙ্গে।

তিনি বীরপাড়া থানার ওসি নয়ন দাসের দ্বারস্থ হন। এরপরেই শুরু হয় পুলিশি তৎপরতা। বাড়ি ফিরে তিনজন অভিযোগ করেন, ‘আমাদের যে গোপনে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল তা টের পাইনি।

পরে ছবিটা স্পষ্ট হতে শুরু করে। বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রাও। যাতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারি, সে কারণে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’

বিশাল গুরুং বলেন, ‘আমার মুখ থেকে জানার পরেই ওসি নয়ন দাস ও জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী তৎপর হয়ে ওঠায় এ যাত্রায় তিনজনকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’

জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, ‘ভিনরাজ্যে গিয়ে কেউ বিপদে পড়লে আমরা জানা মাত্রই উদ্ধার করে আনি। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’ যদিও ওই দালাল চক্রের কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।