• ছাতা মাথায় ক্লাস করছে পড়ুয়ারা, ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষোভ হুগলির শিক্ষামহলে
    বর্তমান | ২১ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ক্লাসরুমে ছাতা মাথায় দিয়ে পড়াশোনা করছে শিশু শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকও পড়াচ্ছেন ছাতা মাথায়। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলিতে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। জানা গিয়েছে, ওইটি পাণ্ডুয়ার পাঁচপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিডিও। তা দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে প্রশাসনের একাংশ। জানা গিয়েছে, দোতলা পাকা বাড়িতে রয়েছে ওই বিদ্যালয়। 

    ভিডিওতে যা দেখা গিয়েছে, সেটি স্কুলের পুরনো বাড়ির অংশ। সেখানে দেওয়াল পাকা হলেও উপরে টিনের চাল। সেই চালের কিছু অংশ মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্কুলের দাবি, সেই কারণেই বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় পড়াতে হয়। ওই ভবন সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও টাকা মেলেনি। যদিও হুগলি জেলা শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে প্রধান শিক্ষক আবেদন করার পরেই সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। গত মাসেই সরকার প্রায় ১১ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। যা চলতি সপ্তাহে জেলার তহবিলে এসে পৌঁছেছে। প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত গুপ্ত বলেন, আমার পাকাপোক্ত চারটি ক্লাসরুম রয়েছে। কিন্তু তাতে প্রি-প্রাইমারির ১৫ জন ও ক্লাস ওয়ানের ১৩ জনকে পড়ানো যায় না। তাই ওই পুরনো ভবনে পড়াতে হয়। বিষয়টি শিক্ষাদপ্তরকে বহুবার জানিয়েছি। শিক্ষাকর্তারা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, কংক্রিট ভবনের বারান্দা কেন ব্যবহার করা হয় না? কেনই বা ত্রিপল জোগাড় করা হয়নি? বাড়তি ক্লাসরুমের জন্য আবেদনই বা কেন করা হয়নি? এসবের যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মেলেনি। 

    এ নিয়ে হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ছবি তোলার জন্য ছাত্রদের বিপদে ফেলার দায় স্কুল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। ত্রিপল সব সময় পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া যায়। আমরা ইতিমধ্যেই ওই ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার প্রবণতা বিপজ্জনক।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)