চক্র ফাঁস, বাদুড়িয়া পুলিসের হাতে ১১ টোটো সহ গ্রেপ্তার ৩
বর্তমান | ২১ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: টোটো চুরি চক্রের বড়সড় পর্দাফাঁস করল বাদুড়িয়া থানা। চুরি হওয়া ১১টি টোটো উদ্ধার ছাড়াও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল, রতন বর্মন, শাহিদুল গাজি ও হাসান দেওয়ান।
শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বাদুড়িয়ার এসডিপিও রাহুল মিশ্র। তাতে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে বসিরহাট পুলিস জেলার মাটিয়া, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁয় বেশ কিছু টোটো চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বসিরহাট পুলিস জেলার পুলিস আধিকারিকরা। গোটা বিষয়টি তদারকি করছিলেন পুলিস সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। তাঁর নির্দেশ মতো তৈরি হয় বিশেষ টিম। সেই মতো বাদুড়িয়া থানার ওসি অতনু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চলে ধারাবাহিক অভিযান। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, র্যাকেট রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তারপর কুলতলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রতন বর্মন ও শাহিদুল গাজিকে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালায় পুলিস। তাদের জেরা করে পুলিসের কাছে উঠে আসে ‘কিংপিন’ হিসেবে হাসান দেওয়ানের নাম। তাকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিস। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, এই টোটোগুলি চোরাপথে বাংলাদেশে পাচারের ছক কষেছিল ওরা। এনিয়ে বাদুড়িয়ার এসডিপিও রাহুল মিশ্র বলেন, প্রথমে দু’জনকে গ্রেপ্তারের পর জেরা করলে তারা টোটো চুরির কথা স্বীকার করে। পাশাপাশি টোটো চুরির কিংপিন হাসান দেওয়ানের নাম তারা পুলিসকে জানায়। পরবর্তীতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও গোসাবা থানার সহযোগিতায় গোসাবার একটি দ্বীপ থেকে হাসান দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে করে বাদুড়িয়া থানার পুলিস। যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১টি টোটো। চক্রে কতজন জড়িত বা কতগুলি টোটো তারা চুরি করেছে তা জানা হবে। নিজস্ব চিত্র