মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে আটকে রেখে মার, জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস
বর্তমান | ২১ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মোবাইল চোর সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে তাঁর স্বামীকে। সোমবার কড়েয়া থানায় গিয়ে সিকান্দার আজমের স্ত্রী নালিশ জানালেও কেউ কথা শোনেনি। এমনকী, অভিযোগও লিপিবদ্ধ করেনি। উল্টে তাঁকে বলা হয়, সিকান্দার মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তদের কোনও অভিযোগ নেওয়া হয় না। ওই থানার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন সিকান্দারের পরিবার। সিকান্দারের পরিবারের এই অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে কড়েয়া থানার ওসি প্রজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি মোবাইল ধরেননি। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। কিন্তু পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
সিকান্দারের বোন মুসকানের দাবি, গত রবিবার দাদাকে প্রথমে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় দু’জন তাঁকে বাইকে করে নিয়ে গিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রেখে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। এই খবর পাওয়ার পর তাঁরা থানায় গেলে বলা হয় সিকান্দার নেশাখোর। নেশাখোরদের কোনও অভিযোগ নেওয়া হয় না। ওইদিন ফিরে আসেন তাঁরা। অভিযোগ, শুধু রবি ও সোমবার নয়, মঙ্গলবারও তুলে নিয়ে গিয়ে দু’দিন আটকে রেখে মারধর করা হয় সিকান্দারকে। এমনটাই দাবি করেছেন মুসকান। ওইদিনও তাঁরা কড়েয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুসকান বলেন, যেখানে আটকে রাখা হয়েছিল, বুধবার সেখানে গিয়ে দাদাকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারপর পুলিস আসে। তাঁর দাবি, থানার দুই সোর্স বিকাশ ও রবির কথামতো পুলিস কাজ করে। দাদা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। যদিও লালবাজার দাবি, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিস ব্যবস্থা নিয়েছে। ধরা পড়েছে চারজন।