নারকেলডাঙা থানার নাকের ডগায় সাট্টার ঠেক, হাতেনাতে গ্রেপ্তার ৩
বর্তমান | ২১ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নারকেলডাঙা থানার নাকের ডগায় একটি বাড়িতে বেআইনিভাবে সাট্টার বোর্ড চালানোর অভিযোগে তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা। ধৃতরা হল হৃষিকেশ বর্ধন (৩৩), মহম্মদ সামসের (৩৯) এবং মহম্মদ রহিম। ধৃত হৃষিকেশ বরানগরের বাসিন্দা হলেও বাকি দু’জন নারকেলডাঙা এলাকাতেই থাকে বলে লালবাজার জানিয়েছে।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দাদের একটি টিম নারকেলডাঙা থানার ১১/২/এইচ/৬ হারশি স্ট্রিটে হানা দেয়। সেখানকার একটি ঘরে সাট্টার বোর্ড চালানোর অভিযোগে গোয়েন্দারা তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ১১ হাজার ৫০ টাকা, সাট্টার প্যাড ও কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা।
নারকেলডাঙার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের একাংশের মদতে এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি সাট্টা, জুয়া, চোলাই এবং বেআইনি নির্মাণের রমরমা চলছে। এমনকী, গত জানুয়ারি মাসে নারকেলডাঙা থানা এলাকায় এক ছাগল ব্যবসায়ীকে চপার দিয়ে আঘাত করে প্রায় ৩৫ টাকা লুটের মতো ঘটনা ঘটেছে। ফলে সঙ্গত কারণেই নারকেলডাঙা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এইসব অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইএসডি) গৌরব লালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এই ঘটনায় গুন্ডাদমন শাখার এসআই প্রতীক সরকার ধৃতদের বিরুদ্ধে নারকেলডাঙা থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ওয়েস্টবেঙ্গল গ্যাম্বলিং অ্যান্ড প্রাইজ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের ২৩ জুন পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।