নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: তেনুঘাট জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছেড়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এক লক্ষ ১০হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। জলাধারের ১০টি গেট খুলে দিয়ে এই জল ছাড়া হয়। শুক্রবার দুপুর থেকে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় থাকা পাঞ্চেত জলাধারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। তিন ঘণ্টায় দু’ফুট করে জলাধারের জল বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্চেত থেকেও বেশ কয়েক দফায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে নিম্ন দামোদর এলাকায়।
দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীব কুমার বলেন, এই ঘটনার পূর্বাভাস পেয়ে আমরা আগে থেকেই পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর ৪০১ফুটে নামিয়ে আনি। যাতে তেনুঘাট থেকে বিপুল জল ছাড়লে আমরা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সেইমতো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। কিন্তু, জলস্তর বাড়তে থাকায় আমাদেরও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে যথাক্রমে সাত হাজার ও ৩৮হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। দুপুর ১টা থেকে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়। পাঞ্চেত থেকে ৪৯হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়। মাইথন থেকে ছ’হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। এদিন বিকেল ৫টায় দামোদর ব্যারেজ থেকে ৪৩হাজার ৭৫০কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। যদিও দুপুর থেকে পাঞ্চেতের ছাড়া অতিরিক্ত জল দুর্গাপুর ব্যারেজে আসতে শুক্রবার গভীর রাত হয়ে যায়। তাই শনিবার ভোরে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে আশার কথা, চারদিন পর শিল্পাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিকেল থেকে তেনুঘাট জলাধারের তরফে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে। এখানে ৭৬হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে।