সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বিয়ের একমাসও হয়নি, তার মধ্যেই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনাটি মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড়ের ফকিরেরকুটি এলাকার। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম অঞ্জনা দে (২১)। মেয়েকে হারিয়ে বাপের বাড়ির লোকদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পলাতক তাঁর স্বামী। ঘটনায় মৃতার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিস। যদিও শ্বশুরবাড়ির তরফে খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি,অঞ্জনা আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজরাহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব খাটেরবাড়ির অঞ্জনা দে এবং ফকিরেরকুটির সৌরভ বর্মনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাসখানেক আগে অঞ্জনাকে বাড়িতে নিয়ে যান সৌরভ। সেখানেই তাঁদের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার অঞ্জনাকে আনতে জামাইয়ের বাড়ি যান বাবা ও পিসি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে কথাই বলতে চায়নি সৌরভের পরিবার। শুক্রবার সকালে সৌরভের এক প্রতিবেশী বধূর বাপের বাড়িতে খবর দেন। দ্রুত ফকিরেরকুটিতে জামাইয়ের বাড়িতে গেলে বাপের বাড়ির লোকজন দেখতে পান অঞ্জনা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না সৌরভ এবং তাঁর বাবা। খবর পেয়ে ফকিরেরকুটিতে যায় মাথাভাঙা থানার পুলিস। তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। অঞ্জনার পিসি জ্যোৎস্না দত্ত বলেন, ভাইঝি মাসখানেক আগে সৌরভের সঙ্গে চলে যায়। সৌরভের বাড়িতে ওদের বিয়ে হয়েছিল। ভাইঝি ও জামাইকে আনতে বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলাম। তবে পরিবারের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। এদিন সকালে আমরা খবর পাই ভাইঝি অসুস্থ। গিয়ে দেখি ও মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে। মেয়েটাকে ওরা মেরে ফেলেছে। হাজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাসিম আলি বলেন, অঞ্জনার বাবা আমার এলাকার বাসিন্দা। মেয়েটিকে ফকিরেরকুটির সৌরভ যখন নিয়ে গিয়েছিল তখনও আমার কাছে এসেছিলেন। এদিন খবর পাওয়ার পর ফকিরেরকুটিতে যাই। তাঁরা জানিয়েছিল, অঞ্জনা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু, ওকে বিছানায় শোওয়া অবস্থায় দেখেছি। মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, নববধূর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটির বাপের বাড়ির লোকজন এখনও অভিযোগ জানায়নি। মৃতদেহ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হবে। শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।