জমির আইনি অধিকারের দাবিতে সরব বাংলাদেশ সীমান্তের তিন গ্রামের বাসিন্দা
বর্তমান | ২১ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। তারপর পেরিয়েছে ১০ বছর। অথচ, নিজেদের জমির অধিকার পাননি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। ডাকের কামাত, বনগ্রাম, মণিঙ্গাপাড়া, এই তিনটি গ্রামের মানুষ নিজেদের জমির অধিকার পাননি। ফলে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই এলাকার বাসিন্দাদের নেই জমির বৈধ কাগজ। উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাঃ জয়ন্তকুমার রায় গ্রামে যেতেই জমির অধিকার চেয়ে সরব হন গ্রামবাসীরা। সাংসদ তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ছিটমহল বিনিময়ের সময় এই অংশটি পাকাপাকিভাবে ভারতে সংযুক্ত হয়। কিন্তু কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের কাছে জমির আইনি অধিকার নেই। এদিকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়ছে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন সকলে।
জমিজটের কারণে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া যাচ্ছিল না কাঁটাতারের বেড়া। স্থানীয় বাসিন্দা যোগেশ রায় ও উকিল রায় বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আমরা কাঁটাতারের বেড়া লাগাতে জমি দিতেও রাজি। কিন্তু তার আগে আমরা চাই জমির আইনি অধিকার। সাংসদের উপস্থিতিতে বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়িজোত, ৫ নম্বর ভুজারিপাড়া ও বনগ্রাম রাধাগোবিন্দ মন্দিরে বৈঠকটি হয়। সাংসদ বলেন, সাধারণ মানুষের জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা শুনতে এসেছিলাম। সমস্যার কথা সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরব। নিজস্ব চিত্র