আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রবল জলস্রোতে তলিয়ে গেলেন স্বামী। স্ত্রীকে কোনও মতে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা থানার ছত্রগঞ্জ এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে সাইকেলে চেপে চন্দ্রকোণা-পলাশচাপড়ি রাজ্য সড়ক পার হচ্ছিলেন তুলসী রুইদাস। সে সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার স্পিড বোট নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত তুলসীর কোনও খোঁজ মেলেনি। এমনকী, তাঁর সাইকেলটাও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ।
বছর ৪২-এর তুলসী স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চন্দ্রকোণা দু’নম্বর ব্লকের বারাসত গ্রামে থাকেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে। এ দিন রাতে স্ত্রীকে নিয়ে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে রাজ্য সড়কে জমা জলের স্রোতে টাল সামলাতে না পেরে সাইকেল নিয়েই তুলসী ও তাঁর স্ত্রী তলিয়ে যান। স্থানীয়রা ছুটে এসে কোনও ক্রমে স্ত্রীকে উদ্ধার করতে পারলেও তুলসী প্রবল জলস্রোতে তলিয়ে যান।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘উদ্ধারকারী দল সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু, যে দিকে উনি ভেসে গিয়েছেন, সেই দিকটা পুরোপুরি প্লাবিত। ঘরবাড়ি, গাছপালা, মন্দির সব ডুবে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছি।’ ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় মোট ৬ জনকে সাপে কামড়েছে। ২ জন কেশপুর এলাকার, ৪ জন ঘাটাল এলাকার। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিলিয়ে গড়বেতা, ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার মোট ১৫ জন প্রসূতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘গড়বেতার পরে চন্দ্রকোণা থেকেও ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু ঘাটালে জল বাড়ছে।’