• অপরাজিতা বিলেই শেষ নয়, নারী ও শিশু সুরক্ষায় একাধিক বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, জানালেন শশী পাঁজা
    প্রতিদিন | ২১ জুন ২০২৫
  • গৌতম ব্রহ্ম: নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় প্রশাসনিক কাঠামো জোরদার করছে রাজ্য সরকার। সেই কথা বিধানসভায় জানালেন রাজ্যের নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। বিধানসভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানেই এদিন বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। রাজ্যের ২.১৫ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সহায়তা পাচ্ছেন। রাজ্যের মহিলাদের আর্থসামাজিক ক্ষমতায়ণ ও সচেতনতা বেড়েছে। সেই কথা এদিন জানানো হয়েছে। নারীদের সুরক্ষায় রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। গত বছর রাজ্যের তরফে অপরাজিতা বিল আনা হয়। বিধানসভায় সেই বিল পাশ করা হয়েছিল।

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একসময় গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগ উঠত। পুলিশ-প্রশাসন এই বিষয়ে করা পদক্ষেপ করতে থাকে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের নারীদের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ছাড়াও একাধিক ভাতা আছে। রাজ্যের মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন। রাজ্যে নারীদের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত হচ্ছে। এই বার্তা সরকারের তরফে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মহিলাদের আরও সামনে এগিয়ে আসার জন্য বার্তা দেন।

    আজ শুক্রবার বিধানসভায় মন্ত্রী শশী পাঁজা একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি জানান, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে রাজ্যের ২৩টি জেলায় ইতিমধ্যেই ২৮ জন প্রোটেকশন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। একাধিক অফিসার নিযুক্ত রয়েছেন বড় জেলাগুলিতে। বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ৩৭টি শক্তি সদন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে সেগুলি পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রী আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নারী ক্ষমতায়নে গত এক দশকে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ও বার্ধক্যভাতা, মানবিক ভাতার মতো প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের কোটি কোটি মহিলা। চলতি সময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২.১৫ কোটি মহিলা সহায়তা পাচ্ছেন। এছাড়াও ৯৩ লক্ষের বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই কথা এদিন জানানো হয়। মন্ত্রী বলেন, “এই সমস্ত প্রকল্প শুধু ভাতা দেওয়ার জন্য নয়, নারীর সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।”

    শশী পাঁজা আরও জানান, ২০২৩-২৪ সালে রাজ্যে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যার পার্থক্য ছিল ১৩ লক্ষ। ২০২৪-২৫ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)