• শিক্ষকের আকাল, প্রশ্নপত্র তৈরির লোক নেই, পর্ষদকে জানাল প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ জুন ২০২৫
  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। রাজ্যের বহু স্কুলে একাধিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, শিক্ষাকর্মী ছাড়াই চলছে প্রচুর স্কুল। স্কুলের ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, বিভিন্ন স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, মিড ডে মিলের এন্ট্রির কাজও করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এর জেরে ক্লাসের ব্যাঘাত ঘটছে। পঠনপাঠন সংক্রান্ত অন্যান্য কাজেও সমস্যা হচ্ছে।

    এরই মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি চিঠি ঘিরে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে পর্ষদ। সেই চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অতীতের মতো বাইরের সংস্থা থেকে প্রশ্নপত্র নেওয়া যাবে না। স্কুলগুলিকেই তৈরি করতে হবে নিজেদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পর্ষদের এই নির্দেশিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন।

    প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘রাজ্যের শিক্ষকদের প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে। এই পদ যতক্ষণ না পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ কে প্রশ্নপত্র তৈরি করবে?’ তাঁর প্রস্তাব, পর্ষদ প্রশ্নপত্র তৈরি করে স্কুলগুলিকে বিনামূল্যে তা বিতরণ করুক।

    বিভিন্ন খাতে স্কুলগুলির প্রাপ্য টাকাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন চন্দনবাবু। তাঁর কথায়, ‘স্কুলের ডাস্টার, চক থেকে ইলেকট্রিক বিল, রক্ষণাবেক্ষণ মিলিয়ে আগে বড় স্কুলগুলিকে বছরে ১ লক্ষ টাকা এবং ছোট স্কুলগুলিকে ১০ হাজার টাকা দিত পর্ষদ। সেই টাকা চারভাগের একভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে বার্ষিক ২৪০ টাকার বেশি নেওয়া যায় না। বিদ্যুতের বিল মেটাতেও অনেক টাকা খরচ হয়। প্রশ্নপত্র তৈরির টাকা স্কুলগুলো কোথা থেকে পাবে?’ পর্ষদকে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এই ব্যাপারে পর্ষদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)