হিমোফিলিয়ার চিকিৎসার দাবিতে অবস্থান, ওষুধ আসছে সব ঠিক হয়ে যাবে, দাবি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের...
আজকাল | ২১ জুন ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: ইঞ্জেকশন মজুত নেই হাসপাতালে। চিকিৎসার দাবিতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে সামনে অবস্থান হিমোফিলিয়া আক্রান্ত পরিবারের। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি, ওষুধ সরবরাহে দেরি হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
হিমোফিলিয়া একটি জন্মগত বিরল রোগ। এই রোগ নিরাময়ে প্রয়োজন নিয়মিত চিকিৎসা। আর সেটা না হলে রোগীর অঙ্গহানি বা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। ইঞ্জেকশনের সাপ্লাই না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা। বৃহস্পতিবার এই দাবিতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর দপ্তরে ২০ থেকে ২২ জন রোগী এবং তাঁদের পরিবার অবস্থান করে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন।
রোগী কৃষ্ণচন্দ্র দাসের অভিযোগ, এটি একটি দুরারোগ্য জন্মগত রোগ। এই রোগে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু ও পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিউক্লিয়ার ‘এ’ ও ‘বি’-এর কোনও চিকিৎসা নেই বিগত বেশ কয়েক দিন। চিকিৎসা না পেয়ে এই রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী বিছানায় শয্যাশায়ী। এক প্রকার বাধ্য হয়েই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এসেছেন। আগেও এমন অবস্থা হয়েছিল, তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
চুঁচুড়া হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা চালু হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে। তার আগে জেলা হাসপাতাল বা মহাকুমা হাসপাতালে এই রোগের কোনও চিকিৎসা ছিল না। চিকিৎসা হত কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে ২০১৬ সালে সার্কুলার জারি করা হয়। ২০১৭ সালে সেটা জানার পর রোগীরা জেলা হাসপাতালে আবেদন জানান। তৎকালীন সময়ের জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও চুঁচুড়া হাসপাতালের আধিকারিকরা সব রকমের সহযোগিতা করেছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে এই রোগের চিকিৎসা চালু হয়। গত তিন বছর খুব ভাল চিকিৎসা পাওয়া গিয়েছে। ২০২১ সালের পর থেকেই এই রোগের চিকিৎসা কিছুটা অনিয়মিত হয়।
এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানিয়েছেন, চিকিৎসা হচ্ছে না এটা বলা ভুল। হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। ইনজেকশনের সরবারহ ছিল না। আশা করা যায় আগামী সপ্তাহের শুক্রবার থেকে ওষুধ পাওয়া যাবে। চুঁচুড়া হাসপাতালে ৬০ জন এই রোগের চিকিৎসা পায়।