‘সুপারি কিলার’ পরিচিত শব্দ। কিন্তু এরা হলো ‘সুপারি চোর’। সুপারি নিয়ে চুরি করতো দুই ব্যক্তি। আর এদের টার্গেট ছিল ধান ও গম। গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল অপারেশন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবারও একই ভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি গ্রামে লুট করতে গিয়েছিল ওই দুই জন। কিন্তু, এ বার পার পায়নি তারা। গ্রামবাসীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোপালপুরের ঘটনা। দুই জনকেই বংশীহারী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তির থেকে সুপারি নিয়েই চুরির কারবার চালাত এরা। মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত দুই যুবক মিনারুল ইসলাম ও মোস্তাক মিঞা গোপালবাড়ির বাসিন্দা। দু’জনেই টোটো চালক। অভিযোগ, সিংগাদহ এলাকার এক যুবক তাদের টাকার লোভ দেখিয়ে গ্রামে গ্রামে ধান-গম লুট করাত। লুটের সামগ্রী টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো। এই কাজের জন্য তারা মোটা অঙ্কের টাকাও পেত।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আনন্দ মণ্ডল বলেন, ‘এ দিন কয়েক বস্তা ধান কিনে দুই টোটো চালককে আমার গোডাউনে রাখতে বলেছিলাম। ওদের গোডাউনের চাবি আর টোটোর ভাড়াও দিয়েছিলাম। টোটো চালকের সঙ্গে আরও এক জন ছিল। কিন্তু ওরা গোডাউনে ধান রাখেনি। তার বদলে গোডাউন থেকে গমের বস্তা টোটোয় তোলার চেষ্টা করে।’ আনন্দ জানান, ঠিক সেই সময়েই তাঁর ভাই অর্ঘ্য বিষয়টি দেখে ফেলেন। অর্ঘ্য চিৎকার করতেই গ্রামবাসীরা সেখানে ছুটে আসেন।

ধরা পড়ে যায় ২ জন। কিন্তু আরও এক অভিযুক্ত টোটো নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। একটি টোটো বাজেয়াপ্ত করে। বংশীহারী থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে চক্রের মূল পান্ডার ছবি মিলেছে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। যে পালিয়েছে, তারও খোঁজ করছে পুলিশ।

গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’