• রথযাত্রার আগেই বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছবে জগন্নাথের প্রসাদ, দোকানে দোকানে পেঁড়া-গজা তৈরির প্রস্তুতি
    এই সময় | ২১ জুন ২০২৫
  • রথযাত্রার আগেই বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছবে জগন্নাথের প্রসাদ। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জগন্নাথের পুজোয় দেওয়া ক্ষীর বিতরণ করে দেওয়া হবে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়। প্রতিটি জেলায় নির্দিষ্ট একটি দোকানে সেই ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি করা হবে পেঁড়া এবং গজা। সেই মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বহুড়ু এলাকার বিখ্যাত বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডারে চলছে দিনরাত কর্মযজ্ঞ।

    বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার গণেশ দাস জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁরা পেঁড়া ও গজা তৈরির বরাত পেয়েছেন। দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে আনা ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে পেঁড়া ও গজা। সেগুলোই প্যাকেট বন্দি করে তুলে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় বিডিও ও রেশন ডিলারদের হাতে। দোকানের কারিগর শান্তনু দাসের কথায়, এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করতে হচ্ছে।

    অন্যদিকে দিঘা থেকে প্রসাদি খোয়া ক্ষীর এসে পৌঁছেছে চুঁচুড়ার মিষ্টির দোকানে। চুঁচুড়ার চকবাজারের অমৃতি স্যুইটস নামের একটি মিষ্টির দোকান প্রসাদ তৈরির বরাত পেয়েছে। দোকানের ১২ জন কারিগর দিনরাত কাজ করছেন। দোকান থেকে সেই মিষ্টি নিয়ে যাওয়া হবে চুঁচুড়া পুরসভার হলে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রসাদ বাক্সে ভরবেন। তারপর সেই প্রসাদ চলে যাবে জেলার বিভিন্ন রেশন দোকানে।

    মিষ্টি ব্যবসায়ী রতন মন্ডল জানান,গজা বা পেঁড়ার মতো মিষ্টি একসঙ্গে অনেকটা তৈরি করে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই তৈরির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা বিলি করে দিতে হবে। জগন্নাথের প্রসাদ তৈরি করতে পেরে ভালো লাগছে বলে জানান রতন।

    হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, দিঘা থেকে ক্ষীর এসে পৌঁছনোর পর বরাত পাওয়া মিষ্টির দোকানে প্রসাদ তৈরি হচ্ছে। পুরসভায় হলে সিসিটিভি নজরদারিতে প্রসাদ প্যাকেজিং হবে। সেখান থেকে রেশন দোকানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিলি করা হবে। ২৭ তারিখ রথের আগে এই প্রসাদ বিলি শেষ করা হবে। চুঁচুড়া পুরসভার কমিউনিটি হলে প্রসাদ প্যাকেজিং-এর প্রক্রিয়া দেখতে আসেন মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। মহকুমা শাসক বলেন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই প্যাকেজিং হচ্ছে।

    রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ কেবলই ধর্মীয় অনুভূতির প্রতিফলন নয়। বরং এই উদ্যোগের ফলে লাভবান হয়েছেন ছোট মিষ্টির ব্যবসায়ী থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বাড়িতে বসেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাওয়ার খবরে খুশি রাজ্যবাসী।

  • Link to this news (এই সময়)