আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে গিয়ে বজবজে বাধার মুখে পড়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবারের সেই ঘটনায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ তুললেন তিনি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে এই মর্মে চিঠিও দিলেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ, বজবজে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সুকান্তের। এমনকি, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
লোকসভার স্পিকারকে লেখা চিঠিতে সুকান্তের অভিযোগ, বজবজে যা ঘটেছে তা ছিল সরাসরি তাঁর এবং উপস্থিত সকলের প্রাণনাশের হুমকি। স্থানীয় পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঠিকই, কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তাঁর যাওয়ার কথা জানা সত্ত্বেও ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও উপস্থিত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সিআরপিএফ জওয়ানেরা, যাঁরা তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে চিঠিতে জানান সুকান্ত। এই ধরনের ঘটনা এক জন সাংসদের অধিকারভঙ্গের সমান! তাঁর অভিযোগ, সংসদকে অপমান করা হয়েছে। বিষয়টি সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠানোরও আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।
বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বজবজ-১ বিডিও অফিসের সামনে বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হন। বৃহস্পতিবার তাঁদেরই দেখতে বজবজে গিয়েছিলেন সুকান্ত। তাঁর সেই সফর ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সুকান্তের কনভয় পোপপাড়া এলাকায় পৌঁছোতেই তৃণমূল সমর্থকেরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুকান্ত হালদারপাড়ায় পৌঁছোনোর পর। সেখানে বিজেপি সভাপতিকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, গালিগালাজ শুরু হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়ি পৌঁছোনোর রাস্তা আটকানোর চেষ্টা হয়। এমনকি, তাঁকে লক্ষ্য করে চপ্পল ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই চিঠি লিখলেন সুকান্ত।