বাগনানে বাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৫। গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ ছাত্রী সঞ্জনা মাইতিকে (২১) এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সঞ্জনা হাওড়া গার্লস কলেজের বটানি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বাগনান থানার সাবসিট পঞ্চায়েতের বাগুড় গ্রামে বাড়ি তাঁর। জানা গিয়েছে, বাবা শ্যামল মাইতির সঙ্গে বেলুড় লালবাবা কলেজে বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। বাগনান বাসস্ট্যান্ড থেকে বাগনান-শ্যামবাজার রুটের বাসে ওঠেন। এরপরই ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বাগনান লাইব্রেরি মোড়ের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে দু’জনেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সঞ্জনার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বাগনান থেকে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছিল যাত্রিবাহী বাসটি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাগনান লাইব্রেরি মোড়ের কাছে বাসটি জাতীয় সড়কে ওঠার সময় কোলাঘাটগামী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা মারে।

দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে আহত আরও দুই বাস যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর পর শুক্রবার সকালে আরও একজন বাস যাত্রীর মৃত্যু হলো।