• তুলসীর মালা পরে স্কুলে ঢোকা যাবে না, বারাসতের স্কুলের ফতোয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে
    এই সময় | ২০ জুন ২০২৫
  • গলায় তুলসীর মালা পরে স্কুলে ঢোকা বারণ। কোনও পড়ুয়া তুলসীর মালা পরে আসছে কিনা তা দেখতে স্কুলের দরজার সামনে কড়া পাহাড়া দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা। এমনকী, এই নিয়ে রীতিমতো ফতোয়া জারি করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনা বারাসত নবপল্লি যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের। তুলসীর মালা পরা নিয়ে বিদ্যালয়ের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।

    সূত্রের খবর, বারাসতের স্কুলে ছাত্রীদের তুলসীর মালা পরে আসতে বারণ করেছেন সেখানকার প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী দত্ত চক্রবর্তী। স্কুলে এই বিষয়ে নজর রাখার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও এই নিয়ে নির্দেশ জারি করেছেন বলে অভিযোগ। স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার এমন নির্দেশে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    অভিভাবকদের বক্তব্য, ছাত্রীরা যদি ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে তুলসীর মালা পরে স্কুলে যায়, তাতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় না। বরং এই ধরনের নির্দেশ শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে আঘাত করতে পারে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলে জানিয়েছেন, স্কুলে তুলসীর মালা পরে আসলে কী ভাবে পড়াশোনার ক্ষতি হয়?

    প্রধান শিক্ষিকার এ রকম আচরণ শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি চম্পক দাস। তিনি প্রধান শিক্ষিকাকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘স্কুল কোনও অবস্থাতেই ছাত্রীর ধর্মীয় আবেগে আঘাত করতে পারে না। তুলসীর মালা পরে আসলে পড়াশোনার ক্ষতি হয় না, বরং এমন নিষেধাজ্ঞা বিদ্যালয়ের পরিবেশে অশান্তি ডেকে আনতে পারে।’

    স্কুলের পরিচালন সভাপতির ভর্ৎসনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধান শিক্ষিকা জানান, তিনি একদিন স্কুলে একটি ছাত্রীকে তুলসীর মালা পরতে দেখেছিলেন। কিন্তু সেটি কোনওভাবে ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায়। মালা কারওর পায়ে লাগলে ধর্মীয় আবেগের অসম্মান হতে পারে, সেই কথা ভেবে তিনি মালা পরে আসতে নিষেধ করেছেন।

    যদিও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকার এই যুক্তি মানতে নারাজ। স্কুল কর্তৃপক্ষেরই একাংশ মনে করছে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রধান শিক্ষিকার পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)