• ভারতে অনুপ্রবেশ, জাল নথি তৈরির চক্রে জড়িত বাংলাদেশি যুবককে ৬ বছরের জেল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুন ২০২৫
  • শুধু চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেই থেমে থাকেনি সে। ভারতে এসেই হাত মিলিয়েছিল জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে। মোটা টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট, আধার কার্ড, প্যান-সহ সরকারি পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত ভুয়ো নথিপত্র দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছিল সেই বাংলাদেশি যুবক। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত।


    আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই যুবকের নাম নাজিবুর রহমান ওরফে পাভেল। বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ-র বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা রায় ঘোষণা করেন। বিচারক জানান, একাধিক ধারায় দোষ প্রমাণিত হলেও, সব সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হবে।এনআইএ-র কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ জানান, নাজিবুর অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে এবং এরপরই পরিচয়পত্র জাল করার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করে। মোটা টাকার বিনিময়ে নকল কাগজপত্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট, আধার, প্যান কার্ড বানিয়ে দিত। এই কাজের জন্য সে নিজেই একাধিক ভুয়ো নথি বানিয়েছিল।


    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে নাজিবুর। তাকে জেরা করে চক্রের আরও তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল সংখ্যক নকল নথিপত্র, জাল কাগজ এবং নথি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ। এই চক্রটি মূলত কাজ করত উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক সীমান্তবর্তী জেলায়। এমনকি, তদন্তে উঠে আসে যে তারা কলকাতা শহরেও এই কার্যকলাপ ছড়ানোর চেষ্টা করছিল।


    প্রথমে মামলার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। কিন্তু পরে এই ঘটনার গুরুত্ব বাড়তে থাকায় তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। এনআইএ প্রমাণসহ চার্জশিট পেশ করে আদালতে। শুনানির সময় নাজিবুর নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় আদালতের সামনে। বিচারক সমস্ত প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রায় দেন এবং তাঁকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অনুপ্রবেশসহ বেআইনি নথিপত্র তৈরি এবং অন্যান্য ধারাতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও বিচারপর্ব চলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)