• ‘কালীঘাটের কাকু’কে স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অনুমতি হাই কোর্টের, রয়েছে একাধিক শর্ত
    প্রতিদিন | ২০ জুন ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: আপাতত জামিনে মুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে একাধিক শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

    কলকাতা হাই কোর্টের তরফে শুক্রবার জানানো হয়, সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করা যাবে। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য ছাড়া অতিরিক্ত মাত্র ১০ আত্মীয়কে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। সর্বোচ্চ ৩৫জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারে। আমন্ত্রিতদের আধার কার্ড এবং বিস্তারিত বিবরণ ৪৮ ঘন্টা আগে সিবিআইয়ের কাছে দিতে হবে। আত্মীয়রা প্রবেশের সময় সিআরপিএফরা তাঁদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করবেন। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ‘কালীঘাটের কাকু’র অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে আগামী ২৬ জুলাই মূল জামিন মামলার শুনানি।

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কয়েকশো কোটি টাকা লেনদেন প্রায় সবই জানা ছিল তাঁর। কীভাবে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হবে, অযোগ‌্য প্রার্থীদের তালিকা কোন কোন জায়গায় পাঠাতে হবে, সেই পরিকল্পনা করতে সুজয়কৃষ্ণ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) অফিসে যেতেন। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর অফিসে বসেই নিয়োগ দুর্নীতির ছক কষতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁরই নির্দেশে কুন্তল, তাপসদের হাত দিয়ে টাকা যেত। এমনকী, সুজয়কৃষ্ণ পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন।

    ইডির গোয়েন্দাদের মতে, সুজয়কৃষ্ণর যে তিনটি সংস্থার সন্ধান পাওয়া যায়, সেগুলির মাধ‌্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। সে কারণে তাকে জেলবন্দি করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জেলে থাকাকালীনই ‘কালীঘাটের কাকু’র স্ত্রীর মৃত্যু হয়। বাড়ির বাইরে কোথাও ঘটা করে স্ত্রীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আর্জিতে গত মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘কালীঘাটের কাকু’। তাতেই শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
  • Link to this news (প্রতিদিন)