পুরুলিয়ায় দুর্ঘটনা, বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে ৯ বরযাত্রীর মৃত্যু
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ জুন ২০২৫
বিয়েবাড়ি সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হল ৯ জনের। শুক্রবার সকালে পুরুলিয়া-জামশেদপুর ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কে চারচাকা গাড়ি ও ট্রেলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটে। এর জেরেই ওই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি দু’টিকে রাস্তার ধারে সরিয়ে নিয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পুরুলিয়া দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের দিকে যাচ্ছিল। বলরামপুর নামশোল প্রাইমারি স্কুলের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা স্পঞ্জ আয়রন বোঝাই একটি ট্রাককে ধাক্কা মারে। এরপর ট্রাকটি পাশের ধানের জমিতে ঢুকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। চারচাকা গাড়ির ভেতরে থাকা সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ দৃশ্যমানতা কমে যাওয়া। নিম্নচাপে জেরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ওই জাতীয় সড়কের বাঁকে দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া ছোট গাড়ির চালক ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে বলরামপুর থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মৃতদেহগুলি দ্রুত উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘সংঘর্ষের পর ছোট গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামেন তাঁরা। কিন্তু কাউকে বাঁচানো যায়নি।’ তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে যায়। তাই প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের চালক ও খালাসি পলাতক। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।