এই সময়, দিঘা: ব্যান পিরিয়ডের পরে শুরু হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরা। ১৪ জুন গভীর রাতে মৎস্যজীবীরা পাড়ি দিয়েছিলেন গভীর সমুদ্রে। বুধবার দিঘাতে ১৫ টন ইলিশ নিয়ে ফিরেছিলেন মৎস্যজীবীরা।
আশা ছিল, এরপর থেকে যে সব ট্রলার ফিরবে, সেখানেও ইলিশের পরিমাণ বেশি থাকবে। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির কারণে মাঝ সমুদ্র থেকে ট্রলার নিয়ে ফিরতে হয়েছে কিছু মৎস্যজীবীকে। বৃহস্পতিবার দিঘায় যে ট্রলারগুলি ফিরেছে, তাতে ৫ টন ইলিশ এসেছে।
মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জুন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলিকে তিন দিনের মাথায় ফিরতে হলো। আবহাওয়া খাপার বলে ফিরে এসেছে ট্রলার। ফলে মাছও বেশি ওঠেনি। ইলিশের জোগান কমল।
ট্রলারের তেলের দাম বেড়েছে। বেড়েছে ট্রলার শ্রমিকদের মজুরিও। একটা ট্রলার সমুদ্রে পাঠালে তার খরচ প্রায় ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু সে ভাবে মাছ উঠল না। ফলে চিন্তা বেড়েছে মৎস্যজীবীদের।
এ ভাবে চলতে থাকলে লাভ তো দূরের কথা লোকসানের বহর আরও বাড়বে। এক মৎস্যজীবীর কথায়, ‘গত মরশুমে সে ভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। এ বার মরশুমের শুরুতেই ১৫ টন ইলিশ উঠেছিল। ভেবেছিলাম ইলিশ ভালো উঠলে লাভের মুখ দেখবেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু এ দিন ৫ টন ইলিশ আসায় মনটা খারাপ হয়ে গেল।’
এ দিন দিঘা মোহনার পাইকারি মাছের বাজারে ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘মরশুমের শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশির ভাগ ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে আসায় মাছের পরিমাণ কমে গিয়েছে।
ঝড় না হলেই ট্রলার রওনা দেবে সমুদ্রে। ১৯ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফের ইলিশ ধরতে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার কথা। আমাদের আশা এ বার ভালো পরিমাণ ইলিশ উঠবে।’
কাঁথি মৎস্যদপ্তরের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুমন সাহা বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সমুদ্রে ইলিশের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এই আবহাওয়াতেই ভালো ইলিশ মেলে। আবহাওয়া যদি এমন থাকে আর ঝড় যদি না হয় তা হলে এ বার ভালো পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করি।’