• আগুনের নেপথ্যে কী? শুভেন্দুর সঙ্গে বাগযুদ্ধে ফিরহাদ
    এই সময় | ২০ জুন ২০২৫
  • এই সময়: গত রবিবার রাতে খিদিরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোড়া থেকেই শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। আগুন লাগার পরের দিনই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভে‍ন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, পরিকল্পিত ভাবে খিদিরপুরের দোকানগুলিতে আগুন লাগানো হয়েছে।

    এই অগ্নিকাণ্ডকে ‘ম্যান ম্যাড’ বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধে উল্লেখ–পর্বে কলকাতায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলি নিয়ে ফের সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু। পাল্টা জবাব দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

    অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার, পুরসভা নিস্পৃহ কেন—এই প্রশ্ন তুলে এ দিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতায় ১২টি অগ্নিকাণ্ডে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেও সরকার, পুরসভার হুঁশ নেই। ধারাবাহিক নজরদারি নেই পরিকাঠামো নেই। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। কোনও এসওপি তৈরি করা হয়নি।’

    তাঁর অভিযোগ, ‘সরকার মুখে বলছে দু’শো শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। অথচ রাজ্যে মাত্র ১৩০টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। প্রয়োজন দু’হাজার দমকল কেন্দ্রের।’ শুভেন্দুর দাবি, নারকেলডাঙা থেকে খিদিরপুর—সব জায়গায় একই কৌশলে জমি দখল চলছে।

    প্রথমে ভালো জায়গায় থাকা বাজার-বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তার পর বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ, দড়ি-বাঁশ-ত্রিপল দিয়ে বাসিন্দাদের অন্যত্র পাঠানো হয়। কিছুদিন জায়গাটা খালি থাকে। তার পর শুরু হয় প্রোমোটিং।’

    শুভেন্দুর আক্রমণের জবাবে ফিরহাদ দাবি করেন, ‘পুড়ে যাওয়া জায়গায় প্রোমোটিং হয়েছে, এ রকম কোনও নজির রাজ্যে বা কলকাতায় নেই। বরং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

    তাঁর বক্তব্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে বেশ কয়েকটি বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু তার জন্যে দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব।

    রবিবার রাতে খিদিরপুর বাজারে আগুন লাগার পরে সোমবারই সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ‍পরের দিন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং–কে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান শুভেন্দু।

    সেখান গিয়েও অগ্নিকাণ্ডের জন্যে রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছিলেন তিনি। রাজ্যে দমকলের পরিকাঠামোকে কাঠগড়ায় তুলে আন্দোলনে নামারও পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। কলকাতার এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘কোথাও আগুন লাগলে দমকলকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতেই পথে নামব আমরা।’

  • Link to this news (এই সময়)