বঙ্গে ঢুকেছে বর্ষা। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ। সঙ্গে রয়েছে গভীর নিম্নচাপের চোখ রাঙানি। দু'য়ের জোড়া ফলায় বাঁধ ভাঙা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়েছে। ডুবে গিয়েছে একাধিক সেতু, ভেঙেছে একাধিক বাঁধ। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে সমস্যায় পড়েছে বাঁকুড়ার ছাতনা বৈদ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রবল বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ের দেওয়াল চুঁইয়ে জল পড়ছে। দেওয়ালের একাধিক জায়গায় রয়েছে ফাটল। বেহাল অবস্থা মিড ডে মিলের রান্নাঘরেরও। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই বাধ্য হয়ে রান্না করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী। অন্যদিকে, স্কুলের ক্লাসরুমের ভিজে দেওয়ালে হাত দিয়ে ইলেক্ট্রিক শক খাচ্ছে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয়ের এই বেহাল অবস্থায় পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, অভিভাবক সকলেই আতঙ্কিত।
এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০১ জন। বিদ্যালয়ে রয়েছেন ১ জন শিক্ষক ও ৩ জন শিক্ষিকা। কিন্তু বিদ্যালয়ের এই অবস্থার কারণে স্কুলমুখী হতে চাইছে না পড়ুয়ারা। বিদ্যালয়ের চারটি ক্লাসরুমের মধ্যে ব্যবহারের যোগ্য কেবল দু'টি। একটি ক্লাসরুমের ভিজে মেঝেতে গুটিকয়েক বাচ্চা নিয়েই চলছে নিয়মিত পাঠদান। প্রধান শিক্ষিকার ঘরের দেওয়াল থেকেও চু্ঁইয়ে পড়ছে জল।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী সাহা জানিয়েছেন, ‘খুব কষ্ট করে বাচ্চাদের পড়াতে হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিড ডে মিলের রান্না করতে হচ্ছে।’ অভিভাবকেরা জানান, বিদ্যালয়ের এমন বেহাল অবস্থার জন্য বাচ্চারা স্কুলেই আসতে চায় না।
ছাতনার বিদ্যালয় পরিদর্শক তপতী মৈত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। ছাতনার বিডিও সৌরভ ধল্ল জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই বিষয়ে খবর এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রাথমিকভাবে ত্রিপল এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুল বাড়িটি সংস্কারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।