রাজ্যের নয়া ওবিসি সংরক্ষণের তালিকা খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সালের আগের ওবিসি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কলকাতা পুরসভার সাব–অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী ৭ শতাংশ সংরক্ষণ পাবে ওবিসি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণ, পুরসভায় সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে শূন্যপদ পাঠাবে কলকাতা পুরসভা। ৭ দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে দপ্তরকে অনুমতি দিতে হবে। এরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করবে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। ওবিসি বিতর্কের জেরে আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। এর জেরে বুধবার সেই নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় কমিশন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায়, ২০১০ সালের আগের ওবিসি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। আদালতের নির্দেশ মেনে নতুন করে শূন্যপদ পূরণের বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷
২০১০ সালের পরে অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীর ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায় ঘোষণার পরেও কলকাতা পুরসভায় সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন।
সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দের একক বেঞ্চ জানতে চায়, গত বছর ২২ মে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১০ সালের পরের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশের পরেও কীভাবে তার ভিত্তিতেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল? এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে বুধবার বিচারপতি চন্দ কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং কমিশনের চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ দেন। নির্দেশ মেনে তাঁরা মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
তাঁদের আইনজীবীরা জানান, ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের রায় বুঝতে তাঁদের সমস্যা হয়েছিল। নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তা তুলে নিয়োগের আগের বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, ডিভিশন বেঞ্চের বেঁধে দেওয়া ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায় ও সাত শতাংশ সংরক্ষণের যে রূপরেখা আছে তাকেই কার্যকর করে সাব–অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি নিয়ে অযথা জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। ওবিসি মামলা দেখিয়ে নিয়োগে বাঁধা দেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ। তাদের নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে।