• ঝুঁকি নিয়েও দুষ্কৃতীদের তাড়া, রাজু বন গয়া ‘সুপারম্যান’
    এই সময় | ২০ জুন ২০২৫
  • অর্ঘ্য বিশ্বাস, ময়নাগুড়ি 

    শুক্রবার মাঝরাতে জীবন বাজি রেখেই এটিএম কাণ্ডের দুষ্কৃতীদের গাড়ির পিছু নিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রাজু রায়। সঙ্গে ছিল তাঁর পরিবার। তবুও কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে ৩৫ কিলোমিটারেরও বেশি পথ দুষ্কৃতীদের তাড়া করেন তিনি।

    মূলত তাঁর প্রচেষ্টাতেই ধরা পড়ে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রাজু এখন বীরের মর্যাদা পাচ্ছেন। পুলিশও তাঁকে পুরষ্কৃত করবে।

    জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা রাজু রায় শুক্রবার রাতে সপরিবারে লাটাগুড়ির উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ময়নাগুড়ি ব্লকের বোলবাড়ি প্রবেশ করতে গিয়েই আচমকা এটিএমের ভিতরে লোকজন দেখে সন্দেহ দানা বাধে তাঁর মনে।

    কয়েকজনকে এটিএম থেকে কিছু একটা বাইরে বের করে গাড়ির ভেতর তুলতে দেখে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এই ঘটনা যে স্বাভাবিক নয় তা বুঝতে পেরে মুহূর্তের মধ্যেই গাড়ি ঘুরিয়ে নেন রাজু।

    কিন্তু তার আগেই এটিএমের সামনে থাকা একটি সাদা স্করপিও তীব্র গতিতে ময়নাগুড়ির দিকে রওনা দেয়। রাজুও সেই গাড়ির পিছু নেন। ময়নাগুড়ির সিঙ্গিমারি মোড় পেরিয়ে দোমোহনি এলাকায় এসে গাড়িটিকে হারিয়ে ফেলেন তিনি।

    কিছুক্ষণ পর জলপাইগুড়িগামী জাতীয় সড়কের দিকে ছুটতে দেখা যায় গাড়িটিকে। ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে জানান রাজু। গাড়ির নম্বরের ছবি তুলেও পুলিশকে পাঠান। খবর পেয়ে দ্রুত ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ-সহ জেলা পুলিশের দল দ্রুত ছুটে আসে।

    রাজু বলেন, ‘আমার গাড়িতে স্ত্রী, দিদি-সহ আরও পরিবারের লোকেরা ছিলেন। সকলের মনেই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল। দুষ্কৃতীদের ওই দলটি চাইলে আমাদের আক্রমণ করতে পারত। তবুও ঝুঁকি নিয়েই গাড়িটির পিছু নিই। তবে দুষ্কৃতীরা সকলেই একে একে ধরা পড়েছে। তাই আর ভয় পাচ্ছি না।’

    আগামীতে এ ভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন বিএসএফের প্রাক্তন জওয়ান রাজু। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ‘রাজু যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, সেজন্য পুলিশের তরফে তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে।

  • Link to this news (এই সময়)