এই সময়: বঙ্গোপসাগরে তৈরি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অতি ধীরগতিতে জায়গা বদলে আপাতত ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার উঁচু হয়ে জমে থাকা মেঘের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম দিকের জেলাগুলোয় তুমুল বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
এর মধ্যে পুরুলিয়া বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়েছে। পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজির (আইআইটিএম) ডেটা অনুযায়ী ১৯৫১-র পর থেকে জুনে পুরুলিয়া মাত্র একবারই ২৪ ঘণ্টায় এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি পেয়েছে। ১৯৯৬–এর ২৩ জুন পুরুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।
একে বর্ষা, তার উপর নিম্নচাপ। এই দুইয়ের প্রভাবেই বিপুল বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার থেকে তবে খুব পিছিয়ে ছিল না বাঁকুড়া (১৪২.৩ মিমি), ঝাড়গ্রাম (১০৫ মিমি), কলাইকুণ্ডা (৬৪.৮ মিমি) এবং ব্যারাকপুর (৬১.৪ মিমি)।
উত্তরবঙ্গের কালিম্পং (১০০ মিমি) এবং দার্জিলিংয়েও (৬২.২ মিমি) বৃষ্টির কোনও কমতি হয়নি। রাজ্য কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ও বলরামপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা-২, ঝাড়গ্রামের বিনপুর-২ এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ও রানিবাঁধ অঞ্চলে বৃষ্টির প্রাবল্য সবচেয়ে বেশি।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির (৭–১১ সেমি) সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ ও ২১ জুন দক্ষিণবঙ্গ মোটের উপরে কিছুটা ‘শান্ত’ থাকলেও ২২ জুন ফের ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গও আজ, শনি ও রবিবার তুলনায় ‘শান্ত’ থাকার পরে সোম থেকে বুধ নতুন করে ভারী বৃষ্টি নামাতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। বৃষ্টির দৌলতে গোটা রাজ্যেই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন — দু’ধরনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে।