• আজ থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলি শুরু
    বর্তমান | ২০ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বৃহস্পতিবার থেকে মহাসমারোহে মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ শুরু হল। প্রথমদিনই এই প্রসাদ সংগ্রহে মানুষের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। প্রসাদ বিলির খবর শুনে বহু মানুষ রেশন দোকানে যান। জেলায় ন’লক্ষ মানুষের কাছে ১০দিনে এই প্রসাদ পৌঁছবে। ২৭জুন রথযাত্রার মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নবান্ন। এজন্য রাজ্য সরকার মূলত ‘দুয়ারে রেশন’ মডেলে ভরসা রাখছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৪৪২টি রেশন দোকান থেকে প্রসাদ বিলি করা হচ্ছে। প্রথমদিনই বেশিরভাগ দোকান থেকে মানুষ বিনামূল্যে প্রসাদ সংগ্রহ করেছেন।

    ৩০ এপ্রিল দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। সেদিনই প্রতিটি বাড়িতে প্রসাদ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের নির্দেশমতো রথযাত্রার আগেই জেলা প্রশাসন সেই কাজ শুরু করল। অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, নবান্নের নির্দেশমতো আমরা সুষ্ঠুভাবে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। খাদ্যদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে জেলার সমস্ত এমআর ডিলারদের প্রসাদ বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ন’লক্ষ মানুষকে প্রসাদ বিলির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তারপরও কেউ প্রসাদ নিতে চাইলে তা দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যদি কোনও কারণে ১০দিনের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে প্রসাদ না পৌঁছয়, তাহলে ৪জুলাই উল্টোরথের মধ্যে এই কাজ শেষ করতেই হবে।

    বিনামূল্যে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পেয়ে খুশি মানুষ। সুন্দর একটি বাক্সে দু’টি পৃথক প্লাস্টিকের জিপ প্যাকেটে একটি খোয়া ক্ষীরের হলুদ প্যাঁড়া ও মিষ্টি গজা দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে স্মারক হিসেবে দেওয়া হচ্ছে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রতিটি ব্লক ও পুর এলাকার বিশিষ্ট মিষ্টি প্রস্তুতকারীদের প্যাঁড়া ও গজা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক-একটি প্যাকেটের মিষ্টির জন্য ২০টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। জগন্নাথদেবের মন্দিরের মূল প্রসাদের অংশ সেই মিষ্টিতে মেশানোর পর তা প্যাকেটে ভরে মানুষের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে।

    জেলা খাদ্য নিয়ামক সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, আমাদের জেলায় ১৪৪২টি রেশন শপ রয়েছে। প্রতিটি রেশন দোকান থেকেই জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিলি করা হবে। প্রথমদিন বেশিরভাগ জায়গা থেকে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়েছে। মানুষ বিনামূল্যে প্রসাদ পেয়ে খুব খুশি। বহরমপুরের বাসিন্দা প্রলয় ঘোষ বলেন, প্রথমদিনই প্রসাদ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগল। আমাদের পাড়ার অনেকেই এদিন প্রসাদ বিলির খবর পেয়ে রেশন তুলতে গিয়েছিলেন। যাঁরাই প্রসাদ চেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে একটি করে প্রসাদের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)