দুবরাজপুরে উদ্ধার প্রায় ৬ লক্ষ জাল লটারির টিকিট, গ্রেপ্তার ৩
বর্তমান | ২০ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: বীরভূম জেলার দুবরাজপুরকে করিডর করে জাল লটারির টিকিট পাচারের ছক কষেছে একটি চক্র। বিপুল সংখ্যক জাল লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে বুধবার রাতে পুলিস লক্ষাধিক জাল লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কৈলাস দাস, জোহান বড়ুয়া ও দীপ পাল। তারা সকলেই বীরভূম জেলার সিউড়ির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্রপ্রসাদ দে বলেন, তদন্তের স্বার্থে আদালত ধৃত কৈলাসের দু’ দিনের পুলিসি হেপাজত মঞ্জুর করেছে। বাকি দু›জনের ১৪ দিনের জেল হেপাজত হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পর পর দু’টি ছোট যাত্রীবাহী গাড়িতে করে জাল লটারির টিকিট পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানা মোড় সংলগ্ন এলাকায় হানা দিয়ে পুলিস গাড়ি দু’টি আটক করে। দু’’টি গাড়িতে মোট তিনজন ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মিলতেই পুলিস দু'টি গাড়িতেই তল্লাশি চালায়। দু’টি গাড়ির ডিকি থেকে মোট ১১টি কার্টন বোঝাই জাল লটারির টিকিট মেলে। পুলিস তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা জাল লটারির সংখ্যা আনুমানিক ছয় লক্ষ। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
পুলিস ধৃত কৈলাশকে হেপাজতে নিয়ে তদন্তের জাল গোটাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই পাচার চক্রের পিছনে বড় কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে। কে বা কারা এই চক্রের মাথা তা জানতে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। সেইসঙ্গে জাল লটারির কারবারের মূল পান্ডার খোঁজও শুরু হয়েছে। জাল লটারির টিকিটের উৎস কী তাও জানার চেষ্টা চলছে। এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই জাল লটারির টিকিটের চক্রের পর্দা ফাঁস হবে। -নিজস্ব চিত্র