নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ২০১৫ সালের ৭ মে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ির দিনবাজার। তারপরও ছবিটা বদলায়নি। আজও কার্যত জতুগৃহ হয়ে রয়েছে শহরের বৃহত্তম এই মার্কেট। বেশিরভাগ দোকানেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার নেই। কোনও দোকানে থাকলেও তার মেয়াদ উত্তীর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আরও ভয় ধরাচ্ছে দিনবাজারের মধ্যে থাকা দোতলা পরিত্যক্ত ভবন। এক সময় এটি সুপার মার্কেট ছিল। কিন্তু বর্তমানে চরম বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ওই বিল্ডিং। রোজই ভেঙে পড়ছে ছাদের চাঙড়। তার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। ফলে যে কোনও সময় ওই ভবন ভেঙে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
দিনবাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, পরিত্যক্ত ওই ভবনের সামনে ‘বিপজ্জনক’ বোর্ড লাগিয়ে দায় সেরেছে পুরসভা। অথচ অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় এখনও যাঁরা ওই ভবনে ব্যবসা করছেন, তাঁদের কাছ থেকে ভাড়া ও খাজনা আদায় করছে পুরসভা। যদিও ওই পরিত্যক্ত ভবনটি শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে, কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ি শহরের মার্চেন্ট রোডে জুতোর দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার কাজ না করায় টনক নড়েছে দমকলের। এদিন দিনবাজার কাপড়পট্টিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক করে তারা। প্রাথমিক অবস্থায় যাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেজন্য প্রতিটি দোকানে নিজস্ব ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখতে বলা হয়। সেইসঙ্গে কীভাবে সেগুলি চালাতে হবে, দেওয়া হয় তার প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি, দিনবাজারে পরিত্যক্ত ভবনটি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জলপাইগুড়ি সদরের দমকলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোবিন্দ রায়। তিনি বলেন, দিনবাজারের ভিতরে পরিত্যক্ত ভবনটি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি পুরসভাকে আগেই জানানো হয়েছে। তারা পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছে।
যদিও দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মলয় সাহার মন্তব্য, বাজারের মধ্যে সুপার মার্কেটের ওই ভবনটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এনিয়ে আমরা পুরসভাকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। পুর কর্তৃপক্ষ এসে দেখেও গিয়েছে। ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু ছ’মাস হয়ে গেলেও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। নিজস্ব চিত্র।