পুলিসের গাড়ির চালকের দাদাগিরি, থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে যুবককে মার
বর্তমান | ২০ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বাগডোগরা: ড্রাইভারই যেন দারোগা! বাগডোগরা থানার পুলিসের গাড়ির চালকের দাদাগিরিতে স্তম্ভিত এলাকাবাসী। রাস্তা থেকে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিসের গাড়ি চালানোর কাজে নিযুক্ত এক যুবক সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জমা হতেই ওই চালক সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস।
অভিযোগ, বাগডোগরা থানার পুলিসের গাড়ির চুক্তিভিত্তিক চালক মুকেশ রায়ের সোমবার ডিউটি ছিল না। সেদিন রাতে সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘পুলিস’ লেখা গাড়ি নিয়ে পুঁটিমারিতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে নিশান্ত রায় নামে এক যুবকের বাইকের সঙ্গে মুকেশের গাড়ির ধাক্কা লাগে। গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে যাওয়া নিয়ে দু’জনের বচসা হয়েছিল। তখন মুকেশ সহ আরও কয়েকজন নিশান্তকে জোর করে গাড়িতে তুলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটান। এমনকী পরিবারের কাছে এক লাখ টাকাও দাবি করেন।
এদিকে, ছেলেকে খোঁজাখুঁজির পর রাত ২টো নাগাদ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে নিশান্তের মা কল্পনা রায়ের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।
কল্পনা বলেন, থানার দোতলায় নিয়ে গিয়ে ওরা ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমার কাছে এক লক্ষ টাকা দাবিও করে। মঙ্গলবার গোটা দিন ছেলে থানাতেই পড়ে ছিল। বুধবার ছাড়লে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই। রাতে পুলিসের গাড়ির চালক সহ পাঁচজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
বৃহস্পতিবার নিশান্ত বলেন, ওই রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। পুলিস লেখা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মুকেশ ও তাঁর সঙ্গী কিশোর ঠাকুর, রমজান আলি, সুধীর রায় ও বীরেন্দ্র রায় বেধড়ক মারধর করেন। তখন থানায় কোনও আধিকারিক ছিলেন না। পরবর্তীতে সাদা পোশাকের পুলিস আসে। ওরাও আমাকে পেটায়। পিঠ, কোমর, হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালসিটে হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুকেশ নিজের গাড়ি ও বাইকে পুলিস লিখে ব্যক্তিগত কাজে ঘোরেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেন মাঝেমধ্যে। এই অবস্থায় বাগডোগরা থানার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বাগডোগরা থানার ওসি পার্থসারথি দাস বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস লেখা গাড়িটি আটক করে