বারবার টার্গেট এটিএম, কেন? কাউন্টারগুলি কি নিরাপদ? প্রশ্ন শিলিগুড়ির
বর্তমান | ২০ জুন ২০২৫
সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: পাঁচদিনের মাথায় ফের এটিএম লুট। ময়নাগুড়ির পর এবার শিলিগুড়ি। পর পর এমন ঘটনায় এটিএমের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। খোদ ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগ, এটিএম লুটের মতো ঘটনা হওয়ার পরও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্টকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সেভাবে চাপ দিচ্ছে না পুলিস। তাই এটিএমগুলির নিরাপত্তায় গলদ থাকছে। একইসঙ্গে তাঁরা স্পর্শকাতর এলাকার এটিএম কাউন্টারে সশস্ত্র গার্ড মোতায়েনের দাবি তুলেছেন।
গত শুক্রবার রাতে ময়নাগুড়িতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে তারা প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা লুট করে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি শহরের চম্পাসারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি এটিএম কাউন্টারে অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা। এখান থেকে তারা প্রায় ১০ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা লুট করেছে। বছর দেড়েক আগে শিলিগুড়ির কয়েকটি এটিএম কাউন্টারে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারা কখনও মুখোশ পরে, আবার সিসি ক্যামেরায় কালো রং স্প্রে করে অপারেশন চালায়। সেইসব ঘটনার পরও কাউন্টারগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ। এনিয়েই সরব ব্যাঙ্ক কর্মীরা।
বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যাঙ্ক কর্মচারী সমিতির রাজ্য সহ সম্পাদক তথা দার্জিলিং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মী মাহাত বলেন, রাজ্যে এটিএম কাউন্টারের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। শুধু শিলিগুড়ি নয়, গোটা রাজ্যেই অধিকাংশ কাউন্টারের নিরাপত্তায় ত্রুটি রয়েছে। প্রতিটি কাউন্টারে সর্বক্ষণ গার্ড মোতায়েন করতে হবে। স্পর্শকাতর কাউন্টারে মোতায়েন করতে হবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। শীঘ্রই এই দাবিতে আন্দোলনে নামব।
লক্ষ্মীর অভিযোগ, কাউন্টারগুলিতে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরও ব্যাঙ্কের ম্যানেজমেন্টকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য চাপ দেয় না পুলিস। ফলে কাউন্টারগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর কোনও উদ্যোগ নেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের।
শিলিগুড়ি শহর সহ দার্জিলিং জেলায় এটিএম কাউন্টারের সংখ্যা অসংখ্য। অধিকাংশেই নেই নিরাপত্তারক্ষী। কখনও সেগুলির ভিতরে ভবঘুরে, আবার কখনও কুকুর ঢুকে যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, দার্জিলিং জেলার পাহাড় ও সমতলে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারের সংখ্যা প্রায় ৫০২টি। যার মধ্যে শিলিগুড়ি শহরেই ১৫০টিরও বেশি।
লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজেশ কুমার অবশ্য বলেন, প্রতিটি কাউন্টারে ই-সার্ভেল্যান্স ব্যবস্থা রয়েছে। অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা চললেই অ্যালার্ম বাজার কথা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি সম্পর্কে এসএমএস যাওয়ার কথা পুলিসের কাছেও। কাজেই নিরাপত্তা ঢিলেঢালা রয়েছে বলে অভিযোগ ঠিক নয়। তবে, ওই কাউন্টারের ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেব। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত করবে।
একই সঙ্গে শহরের নিরাপত্তায় পুলিসি নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। ক্ষুব্ধ নাগরিকদের অভিযোগ, পুলিস সেভাবে পেট্রোলিং করছে না বলেই এমন ঘটনা ঘটছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানিয়েছেন, রাতে শহরে পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে আমাদের কোনও গাফিলতি নেই। এটিএম কাউন্টারগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের। তবে আমরা এবিষয়ে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আবার