অবস্থা সঙ্কটজনক, অসুস্থ সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল, ভর্তি করানো হল এমসে
আনন্দবাজার | ১৯ জুন ২০২৫
শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তমলুকের বিজেপি সাংসদ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতকে সেখানকার এমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, অভিজিতের যা শারীরিক পরিস্থিতি, তাতে এমসে ভর্তি করা হলে তিনি আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন বলে মনে করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিবৃতি দিয়ে অভিজিৎকে বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থানান্তর করার কথা জানিয়েছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে তিনি ভর্তি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শোনা গিয়েছিল যে অভিজিৎকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এই খবর প্রথমে হাসপাতাল কিংবা বিজেপি সূত্রে নিশ্চিত করা হয়নি। বেশ কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অভিজিৎ। বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁকে ওই হাসপাতাল থেকে বার করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। গ্রিন করিডর করে অভিজিৎকে নিয়ে যাওয়া হয় দমদম বিমানবন্দরে। বিজেপি সূত্রের খবর, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটের একটি বিমানে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় অভিজিৎকে। সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত অভিজিৎ। সেই সঙ্গে ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল সেপসিস’ও রয়েছে। গত শনিবার থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁকে যে দিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, সে দিনই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় (পিএমও) থেকে তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যে কোনও প্রয়োজনে পিএমও পাশে থাকবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিজিতের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে।
অভিজিতের চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম গঠন করেছিলেন। মেডিক্যাল টিমে থাকা চিকিৎসকেরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, অভিজিতের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন। সূত্রের খবর, সেই কারণেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানোর পক্ষপাতী বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে পরিস্থিতি খুব ভাল নয়। দিল্লি এমসে নিয়ে যাওয়া গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরাও আরও ভাল পরিষেবা দিতে পারবেন বলে আশা করছি। উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”