ওবিসি কোটা বিতর্ক, কলকাতা পুরসভায় নতুন নিয়োগে সম্মতি দিল হাই কোর্ট, তবে প্রকাশ করতে হবে নতুন বিজ্ঞপ্তি
আনন্দবাজার | ১৯ জুন ২০২৫
কলকাতা পুরসভায় সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, ওই নিয়োগের জন্য শূন্যপদ কলকাতা পুরসভা পাঠাবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে। সাত দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে অনুমতি দিতে হবে দফতরকে। সেই মোতাবেক নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করবে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। ওবিসি বিতর্কের জেরে আগের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। বুধবার সেই নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় কমিশন। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট জানায়, ২০১০ সালের আগের ওবিসি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। আইন অনুযায়ী তারা ৭ শতাংশ সংরক্ষণ পাবে।
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পরে অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীর ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায় দেয়। অভিযোগ, ওবিসি শংসাপত্র (সার্টিফিকেট) বাতিলের রায়ের পরেও কলকাতা পুরসভায় সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বুধবার বিচারপতি চন্দ কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং কমিশনের চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ দেন। তাঁদের আইনজীবীরা জানান, ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের রায় বুঝতে সমস্যা হয়েছে। নিয়োগের আগের বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পরেই আদালত সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগে ছাড়পত্র দেয়।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৭৮ শূন্যপদের মধ্যে ‘ওবিসি(এ)’-র জন্য আটটি এবং ‘ওবিসি (বি)’-র জন্য পাঁচটি পদ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। বুধবার বিচারপতি চন্দের একক বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানতে চায়, গত বছর ২২ মে হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১০ সালের পরে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার পরেও কী ভাবে সংরক্ষণের কথা জানিয়ে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল? মামলাকারীদের তরফে আদালতে অভিযোগ করা হয় যে, ওবিসি নিয়ে হাই কোর্টের রায় অমান্য করা হচ্ছে। তাই ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, বিষয়টি নিয়ে অযথা জটিলতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ওবিসি মামলা দেখিয়ে নিয়োগে কারও হাত বেঁধে দেওয়া হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে স্পষ্ট বলে দিয়েছে, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ। তাদের নিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানো হবে।