অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: স্ত্রী উচ্চপদে চাকরি করতেন তা নিয়ে ইগো সমস্যা! অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলতেন বলেও সহেন্দ ছিল। তার জেরেই খুন স্ত্রীকে? বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে শ্বশুড়বাড়ি থেকে উদ্ধার যুবতীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ মেয়েকে খুন করা হয়েছে। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম অলংকৃতা সিনহা ঘোষ। বয়স ২৬ বছর। পাঁচ বছরের সম্পর্ক থাকার পর ছয় মাস আগে গোলাবাড়ির রোজমেরি লেনের বাসিন্দা শুভম ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দু’জনেই আইটি সেক্টরে কর্মরত। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, অলংকৃতা অন্য ছেলের সঙ্গে কথা বলছে সেই সন্দেহের বশে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন শুভম। এমনকী পণের জন্যও চাপ দেওয়া হত তাঁকে। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাঁদের ঝগড়া লাগত। বুধবার গভীর রাতেও দম্পতির ঝামেলা বাঁধে। তারপরই বেলা এগারোটা নাগাদ অলংকৃতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে দাবি শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের। কিন্তু মৃতার পরিবার জানিয়েছেন, তাঁদের ও পুলিশের যাওয়ার আগে অলংকৃতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে, অলংকৃতা তাঁর স্বামী শুভমের চেয়ে উচ্চপদে চাকরি করতেন। শুভম অন্য আইটি সংস্থায় তুলনামূলক নিচু পদে কর্মরত। এনিয়ে শুভম ‘ইগো’ সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রীকে সন্দেহ করতেও বলেও অভিযোগ মৃতার ভাই সৌম্যজ্জ্বল সিনহার। তিনি জানিয়েছেন, “বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বললেও শুভম ভাবত অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে কথা বলছে দিদি। এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো।” শুভম, তাঁর বাবা-মা ও বোনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার পরিবার। পুলিশদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মামলা রুজু করে তদন্তে পুলিশ।