রণজয় সিংহ: ছয় মাসের শিশুপুত্র সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় গৃহবধূ! স্বামী আপাতত বাড়িছাড়া। বাড়ির দরজায় ভিতর থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শাশুড়ি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য মালদহের চাঁচলের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মকদমপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। কাজের সুবাদে গুজরাতে থাকেন তিনি। সাদ্দামের বাড়ির সামনেই শিশুসন্তানকে নিয়ে ধরনায় বসেছেন সুমি খাতুন নামে গৃহবধূ। দাবি, গুজরাতেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সাদ্দামের। এরপর সেখানে বিয়েও করেন তাঁরা। কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নেননি সাদ্দামের পরিবার ও গ্রামের লোকেরা। মকদমপুরে ফের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
সুমির অভিযোগ, বিয়ের পর কয়েক মাস পর তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন স্বামী ও শাশুড়ি। বাড়ির বাইরে একটি টিনের ঘরে থাকতে হয়। ছেলে হওয়ার পর ফের ভিনরাজ্যে চলে যান সাদ্দাম। এরপর ছেলেকে নিয়ে গুজরাটে চলে যান ওই গৃহবধূ। সেখানে নিজের কাজ করে বড় করছিলেন ছেলেকে। কিন্তু সম্প্রতি সাদ্দাম নাকি ফের বিয়ে করেছেন! খবর পেয়েই গুজরাত থেকে এসে মালদহে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন সুমি।
এদিকে এই ঘটনার জন্য প্রতিবেশীদের ইন্ধনকেই দায়ী করেছেন সাদ্দামের মা, সুমির শাশুড়ি সেতারা বিবি। তাঁর পাল্টা দাবি, 'সে তিনমাস একাই বাইরে থাকল! এটা কেউ মেনে নেবে। ওই শিশুটিও আমার ছেলের সন্তান নয়। ও চলে যাওয়ার পর ফের ছেলের বিয়ে দিয়েছি'। সাদ্দামকে এক স্ত্রীকে আবার বিয়ে করেছেন তাঁর ছোট ভাই ছোটন আলি।
ছোটন বলেন, 'বৌদিকে ভালোবেসেছি তাই বিয়ে করেছি। কিন্তু আমাদের পরিবারের নামে থানায় অভিযোগ করেছে সুমি। ওকে কি ঘরে তোলা যায়'! তবে সাদ্দাম পরিবারের এমন আচরণে সরব গ্রামবাসীদের। স্থানীয় বাসিন্দা শাহাজান আলি বলেন, 'বারবার বিয়ে করাটাই এখন ওদের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। এলাকায় কুপ্রভাব পড়ছে। গ্রামে একাধিকবার সালিশি বসলেও তোয়াক্কা করেনি'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, এই স্ত্রীকে ঘরে না তুললে আইনের দ্বারস্থ হব।এইভাবে বারবার বিয়ে মেনে নেওয়া যায় না'।