বোমা ফেটে গুরুতর আহত হলেন এক বৃদ্ধা। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জালপাই গ্রামের ঘটনা। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত বৃদ্ধার নাম নিহারি দাস অধিকারী। তাঁর বয়স ৬৬ বছর। কীভাবে বৃদ্ধার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কীভাবে বোমা এল? এর নেপথ্যে কে বা কারা? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহারি ওই বাড়িতে একাই থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্নানের ঘরের পাশে জঙ্গল পরিষ্কার করতে যান তিনি। সেই সময় পাটের সুতো জাতীয় কিছু পড়ে থাকতে দেখেন বৃদ্ধা। ওই জিনিসটি হাতে তুলতেই বিস্ফোরণ হয়, আহত হন নিহারি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিটকে পড়ে যান তিনি। উড়ে যায় তাঁর হাতের একাংশ। জোরদার আওয়াজ শুনে নিহারির দাদা ছুটে আসেন। তিনি নিহারিদেবীকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনার কথা চাউর হতেই গোটা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কে বা কারা ওই বোমা রেখে গেল, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি (নন্দীগ্রাম-৪) শঙ্কু নায়েক বলেন, ‘ওই মহিলা তৃণমূলের সমর্থক। একুশের বিধানসভা ভোটের পরে নন্দীগ্রামে শক্তি কমছে বিজেপির। তাই ওরা এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রলয় পাল বলেন, ‘বিধানসভা ভোট আসছে। তাই তৃণমূল যা করে, তাই করছে। কী করে বিজেপিকে ফাঁসানো যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। ওরা তো বোমা, বন্দুকের রাজনীতিতেই অভ্যস্ত।’