পুজোর আগেই শুরু হচ্ছে বাগডোগরা-গ্যাংটক রুটে ১০ আসনের কপ্টার পরিষেবা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ জুন ২০২৫
পুজোর আগেই বাগডোগরা-গ্যাংটক রুটে চালু হচ্ছে ১০ আসনের কপ্টার পরিষেবা। এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারের ২৬ আসনের ব্যয়বহুল পরিষেবা বাতিল করেই নতুন এই সুলভ পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগের এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারের ২৬ আসনের কপ্টার সামান্য খারাপ আবহাওয়ার কারণে আকাশে উড়তে পারেনি। তাছাড়া এই পরিষেবা পর্যটক মহলেও তেমন সাড়া ফেলেনি। সেজন্য পুজোর আগেই সিকিম-বাগডোগরা রুটে ১০ আসনের এই ছোট কপ্টার পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তর।
প্রসঙ্গত সড়কপথে যাতায়াতের ঝক্কি কমিয়ে যাতে খুব কম সময়ে এবং নির্বিঘ্নে পর্যটকরা সিকিমে পৌঁছতে পারে, সেজন্য গত বছরের ৬ মার্চ ২৬ আসন বিশিষ্ট গ্যাংটক থেকে বাগডোগরা এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার চালু করা হয়েছিল। আশা ছিল করা হয়েছিল এই পরিষেবায় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। কিন্তু পরিকল্পনা সফল হয়নি।
সিকিম পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের কর্তারা জানান, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চললেও যাতায়াতের পথে ১১-১২ জনের বেশি যাত্রী হয়নি। অনেক সময় মাত্র ৫-৬ জন যাত্রী নিয়ে হেলিকপ্টার চালাতে হয়েছে। সেজন্য ২৬ আসন বিশিষ্ট কপ্টার পরিষেবাদ চালু করার ফলে খরচও বেড়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। সামান্য মেঘলা আবহাওয়ায় এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার আকাশে ডানা মেলতে পারেনি। বাধ্য হয়ে এই সময়ে পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। মাত্র এক বছরে লোকসানের বহর বেড়ে হয়েছে ২০ কোটি টাকা। বাধ্য হয়েই ১০ আসন বিশিষ্ট কপ্টার পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।