• কড়া নজরদারিতে চলছে প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকিং, দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ ঘরে তোড়জোড় এই জেলায়...
    আজকাল | ২০ জুন ২০২৫
  • মিল্টন সেন: দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ বিলিকে কেন্দ্র করে জোরকদমে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। গুণমান থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ, প্রতিটি ধাপে রয়েছে কড়া নজরদারি। সিসিটিভির সরাসরি পর্যবেক্ষণের মধ্যেই চলছে প্রসাদ তৈরির কাজ। বৃহস্পতিবার থেকে হুগলির চুঁচুড়ার চকবাজারের বিখ্যাত এক মিষ্টির দোকানে শুরু হয়েছে প্রসাদ প্রক্রিয়াকরণের কাজ।

    দোকানের কর্ণধার রতন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘বুধবার দিঘার মন্দির থেকে মহাপ্রসাদ এসে পৌঁছেছে চুঁচুড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্নান সেরে ১২ জন দক্ষ কারিগর খোয়া ক্ষীর ও মহাপ্রসাদ মিশিয়ে গজা, প্যাড়া প্রভৃতি মিষ্টি তৈরি করতে শুরু করেছেন’। জানা গিয়েছে, এই মিষ্টির দোকানে প্রসাদ তৈরি হলেও প্যাকিং হবে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার হলঘরে। সেখানেও থাকছে সিসিটিভির তত্ত্বাবধানে কাজের ওপর নজরদারি। এই প্রসাদ তৈরির বিনিময়ে দোকানের মালিককে প্রতি প্রসাদে ২০ টাকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা জানিয়েছেন, ‘সম্পূর্ণ নিষ্ঠা সহকারে এবং যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেই চলছে কাজ। ইতিমধ্যেই প্যাকিং বাক্স এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকাল থেকে প্যাকিং শুরু হবে, যেখানে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই কাজে যুক্ত হবেন’।

    প্যাক করা প্রসাদ পাঠিয়ে দেওয়া হবে রেশন ডিলারদের কাছে। শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে প্রসাদ বিলির কাজ। প্রতিটি প্যাকেটে থাকবে প্রভু জগন্নাথদেবের ছবি এবং প্রসাদের উপকরণ। মহকুমাশাসক আরও জানিয়েছেন, ‘বিলি চলাকালীন রেশন দোকান বন্ধ রাখা যাবে না। প্রসাদ দ্রুত বিলির লক্ষ্যে কাজ চলবে একসঙ্গে। শুধুমাত্র রথের দিন প্রসাদ বিলি বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। রথের পরদিন থেকে আবার শুরু হবে প্রসাদ বিতরণ। উল্টো রথের পরের দিন সম্পূর্ণ বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    ছবি: পার্থ সাহা
  • Link to this news (আজকাল)