গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল, তাতে কী! নতুন করে রাজ্যে এসেই বাসা বানাল তারা, এই বর্ষায় ভরা সংসার...
আজকাল | ২০ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবারেও দলে দলে এসে ডেরা বেঁধেছে পরিযায়ী শামুকখোলেরা। একসময় কোচবিহার বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন গাছ গুলি ছিল শামুকখোলেদের আশ্রয়স্থল। কয়েক বছর ধরে সেই গাছ গুলি বিমান চলাচলের সুবিধার্থে কেটে ফেললেও কোচবিহারের প্রতি টান একটুও হারায়নি শামুকখোলেদের। তারপরেও এখন দলে দলে এসে আশ্রয় নিচ্ছে কোচবিহার শহর সংলগ্ন আইটিআই মোড়ের বনদপ্তর সংলগ্ন গাছগুলিতে।
এবার অবশ্য তাদের দেখা গিয়েছে শালবাগান সংলগ্ন এলাকাতেও। গতবারের থেকে এবার কোচবিহার শহরে তাদের সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি, এমনটাই বলছেন পরিবেশপ্রেমীদের অনেকে। এদিকে এবার সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকে পড়ায় পরিযায়ী পাখিরাও খুব তাড়াতাড়ি তাদের ডেরা বেঁধেছে। শহরে তাদের দেখা মিলতেই খুশি সকলে।
জানা গিয়েছে, প্রতিবারই মে মাস নাগাদ দলে দলে উড়ে কোচবিহারে আসে। প্রজননের সময় বর্ষাকালটা এখানেই কাটায় তারা। জুনের মাঝামাঝি নাগাদ তারা ডিম দেয়। এরপর প্রায় মাসখানেক ধরে চলে ডিমে তা দেওয়ার পালা। দু’ মাস বয়সে শামুকখোলেদের বাচ্চারা উড়তে শেখে। এরপর বাচ্চা খানিকটা বড় হলেই সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর নাগাদ আবার তাদের নিজেদের ডেরায় ফিরে যায়। তবে মরাতোর্ষা সংলগ্ন এলাকার ডেরার যেন বদল হয় না।
এদিন পরিবেশপ্রেমীরা জানিয়েছেন, তোর্ষা এবং শাল বাগানের অনুকূল পরিবেশের কারণেই প্রতিবার এই গাছগুলিতে এই পাখির ঝাঁক বাসা বাঁধে। এবছর তাদের সংখ্যাটা প্রায় দেড় হাজারের কাছাকাছি বলে ধারণা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। ডিম ফুটলে এদের সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
এবিষয়ে পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব অরূপ গুহ বললেন, ‘শামুকখোলেদের সংখ্যা গতবারের থেকে কিছুটা বেড়েছে। এরা আমাদের পর্যটনের অন্যতম অঙ্গ। কোচবিহারের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এদের অনেক অবদান রয়েছে।’উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে দক্ষিণ এশিয়া সহ উপকূলবর্তী দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা কুলিক-সহ বিভিন্ন জায়গায় এসে ভিড় জমায়। বিমানবন্দর লাগোয়া বড় গাছগুলি থাকলে শামুকখোলদের সংখ্যাটা আরও বাড়ত বলেই ধারণা স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীদের।