দিঘায় রথযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে জেলা ও রাজ্যস্তরের প্রশাসনিক কর্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রথযাত্রার নানা দিক নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের ধাঁচেই রথযাত্রার দিন যাবতীয় আয়োজনের ভাবনা রেখেছে প্রশাসন।
১. সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য পুরনো দিঘা থেকে নতুন দিঘা পর্যন্ত রাখা হবে বেশ কিছু পানীয় জলের ক্যাম্প। পিএইচির তরফ থেকে জলের পাউচ বিতরণ করা হবে ওই সমস্ত ক্যাম্প থেকে।
২. রথযাত্রার জন্য কড়া নিরাপত্তায় গোটা এলাকা মুড়ছে প্রশাসন। বাইরের জেলাগুলি থেকেও অতিরিক্ত পুলিশ আসবে দিঘায়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হবে প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মী।
৩. রথযাত্রার সময়ে যাতে বিদ্যুতের কোনওরকম সমস্যা না হয় সেই বিষয়টি নিয়েও বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়।
৪. স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত থাকবে বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল ক্যাম্প। সেখানে চিকিৎসকেরা থাকবেন, থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ।
৫. দশটিরও বেশি দমকল এবং অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে রথযাত্রার সময়।
৬. পুণ্যার্থীরা যাতে রথের রশি স্পর্শ করতে পারেন তার জন্য দীর্ঘ এক কিলোমিটার বিছিয়ে রাখা হবে রথের রশি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দপ্তরে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী পুলক রায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রথযাত্রায় সব রকম আয়োজন ঠিকঠাক হচ্ছে নাকি খতিয়ে দেখেন তিনি। মন্ত্রী ছাড়াও, এ দিন উপস্থিত ছিলেন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দুই প্রধান সচিব, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যরাও। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এ দিনের বৈঠক। এরপর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে থাকা রথ সহ গোটা মন্দির পরিদর্শন করেন মন্ত্রী সহ আধিকারিকরা। সেখান থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন তিনি। কোথাও কোনও গাছের ডাল বা বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে কি না নিজের চোখে দেখেন মন্ত্রী পুলক রায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘রথযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন নির্দেশগুলি নিয়ে আমরা জেলাশাসকের উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করলাম। রথ এখান থেকে যাবে। গোটা এরিয়া আমরা ঘুরে দেখেছি। মাসির বাড়িতেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। রথযাত্রায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।’